ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করতে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরে তিনি কোনও শব্দ খরচ না করলেও তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হল ত্রিপুরায়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে হেলিকপ্টার করে উদয়পুরের পালাটানায় যান। সেখান থেকে যান ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে। আগরতলা বিমানবন্দরে তাঁকে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার-সহ অন্য অফিসারেরা স্বাগত জানিয়েছেন। তার পর তিনি হেলিকপ্টারে পালাটানা ওটিপিসির দিকে রওনা হন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
কিন্তু তিনি যত ক্ষণ রাজ্যে ছিলেন সেই সময় আগরতলা বিমানবন্দর থেকে উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির প্রায় ৫৫ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে প্রধামন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার তিনটি জেলার মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এতে করে অফিস যাত্রী, রোগী পরিজনেরা, সাধারণ মানুষ-সহ পরীক্ষার্থীরা চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে।পাশাপাশি সরকারি অনুষ্ঠানে অন্য কোনও বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিরোধী দলের তরফে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কোনও রাজনৈতিক দলের পরিচয় এখানে খাটে না। মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের নতুন রূপের স্থাপত্যকে উদ্বোধন করার জন্য তিনি আজ রাজ্যে এলেন।’’
পাশাপাশি সিপিএম অভিযোগ করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে, ‘‘শেষমেশ পদ্মেও জুমলা! মোদী যাবেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। তাই অন্য পাড়া থেকে তুলে এনে মাতাবাড়ির ফোয়ারার জলে গাঁথা হল পদ্মফুল!’ এর মধ্যে প্রধামন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে এত রকম কড়াকড়ি করে প্রশাসন। তার মধ্যে বিজেপির বিধায়কের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বলয় ভাঙার অভিযোগ উঠল। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী রমেশ চৌমহনী এলাকায় পৌঁছনোর সময়ে বিধায়ক জিতেন মজুমদার সঙ্গীদের নিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের দিকে যেতে চাইলে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয়।
অন্য একটি ঘটনায় ব্রহ্মাবাড়ি এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আসার পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক অভিষেক দেবরায় অনুগামীদের নিয়ে নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ঢুকে পড়েন তিনি। ওই জায়গায় থাকা ত্রিপুরা পুলিশের অফিসারেরা তাঁকে সরে যেতে অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। এতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার পরে ত্রিপুরা পুলিশের কোনও অফিসার এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)