ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক-জরিমানার হুঁশিয়ারি ও আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন। ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক সত্যিই চাপলে ভারতের রফতানি ক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান বিপদের মুখে পড়বে।
এই ধাক্কা সামলাতে মোদী সরকার দেশের বাজারে কেনাকাটা বাড়াতে জিএসটি-র বোঝা কমানো, ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার মতো আর্থিক সংস্কারের রাস্তায় হাঁটতে চাইছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে আর্থিক সংস্কারের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গতি আনতে চাইছে মোদী সরকার।
সরকারি সূত্রের খবর, আজ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে আর্থিক সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি অনুযায়ী ভারতীয় পণ্যে ৫০% শুল্ক চাপলে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারের রফতানি ধাক্কা খাবে। দেশের বাজারে কেনাকাটা বাড়ালে সেই ধাক্কা কিছুটা সামাল দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি নতুন লগ্নি টানার রাস্তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আর্থিক সংস্কারের পরবর্তী পদক্ষেপের রূপরেখা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আমরা সমস্ত ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে সংস্কারের প্রতি দায়বদ্ধ। যাতে মানুষের জীবনযাত্রা থেকে ব্যবসার পরিবেশ সহজ হয়।’’ বৈঠকে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নির্মলা সীতারামন, পীযূষ গয়াল, নিতিন গডকড়ীর মতো মন্ত্রীর সঙ্গে সঞ্জীব স্যান্যাল, শমিকা রবি, নীলকণ্ঠ মিশ্র, সৌম্যকান্তি ঘোষ, রাকেশ মোহনের মতো অর্থনীতিবিদরা হাজির ছিলেন।
দেশে ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে আজই সংসদে জন বিশ্বাস বিল পেশ করেছেন শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। শিল্প, বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনে যেখানে অল্প ভুলচুকে ফৌজদারি অপরাধের মামলার নিদান রয়েছে, এই বিলে তা শিথিল করা হয়েছে। গয়াল আজ নিজেও শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে নতুন কী কী সংস্কার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকার ১০০ দিনের কর্মসূচি নিতে চলেছে। যাতে ভারতের উন্নত রাষ্ট্রের পথে যাত্রার গতিবেড়ে যাবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)