রায়ান ইন্টারন্যাশনালের সামনে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
যৌন নিগ্রহে বাধা দেওয়ায় এবং চিৎকার করার জন্যই প্রদ্যুম্নর গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত স্কুলবাসের হেল্পার অশোক কুমার। গুরুগ্রামের সোহনা এলাকায় রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ছাত্র খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার এ কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ওই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হল প্রিন্সিপাল নীরজা বাত্রাকে। শুক্রবার, স্কুলের শৌচাগার থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের রক্তাক্ত দেহ।
ছাত্র খুনের ঘটনায় এ দিন সকাল থেকেই রায়ান ইন্টারন্যাশনালের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে। এর পরই নীরজা বাত্রাকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয় স্কুলের তরফে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা সংস্থাকে সরানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভরত অভিভাবকদের দাবি, নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক বার অভিযোগ জানানো হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু, তারা কোনও অভিযোগ শুনতে চায়নি।
আরও পড়ুন: স্কুল শৌচাগারে মিলল খুদের নলিকাটা দেহ
এ দিকে, শনিবার আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্ত অশোক কুমারকে। কিন্তু, আদালতে তার হয়ে সওয়াল করার জন্যে কোনও আইনজীবী দাঁড়াতে রাজি হননি। বার অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে সমস্ত আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা কেউ অশোক কুমারের হয়ে আদালতে সওয়াল করবেন না।
আরও পড়ুন: ডেরার একান্ত নিজস্ব, সমান্তরাল মুদ্রা ব্যবস্থা!
এ দিন গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খিরওয়ার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, চার দিনের মধ্যে চাজর্শিট পেশ করা হবে। পাশাপাশি, গুরুগ্রামের ডিসিপি ক্রাইম সুমিত কুহার এনডিটিভিকে বলেন, ‘‘ছাত্র খুনের তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ এবং ওই কমিটিকে দ্রুত এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’’ সোমবারের মধ্যে এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডিসিপি। রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন সুমিত কুহার। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
প্রদ্যুম্নর বাবা বরুণ ঠাকুর ছেলের মৃত্যুতে সরাসরি স্কুলের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন। তিনি জানান, ওই দিন সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ স্কুল থেকে ফোন করে বলা হয়, প্রদ্যুম্ন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘ছেলের খেয়াল রাখতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। আরও আগে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো ওকে বাঁচানো যেত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy