Advertisement
E-Paper

মমতাকে ডাকার প্রস্তাব বিফলেই

জয়রামের বক্তব্য ছিল, মমতা সেই বিরল জীবিত নেতাদের মধ্যে এক জন, যিনি রাজীব গাঁধীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৩
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

রাজীব গাঁধীর জন্মদিবস উপলক্ষে কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। রাজনৈতিক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রিয়ঙ্কা তাঁকে জানিয়ে দেন রাহুল গাঁধীর নির্দেশ ছাড়া তিনি এ ব্যাপারে এক পা-ও এগোতে পারবেন না। রাহুল অবশ্য এমন কোনও আমন্ত্রণ পাঠাননি মমতাকে।

সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই রাহুল বা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব নতুন করে নৈকট্যের কোনও সঙ্কেত তৃণমূলকে দিতে চাইলেন না।

জয়রামের বক্তব্য ছিল, মমতা সেই বিরল জীবিত নেতাদের মধ্যে এক জন, যিনি রাজীব গাঁধীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তাঁকে ডেকে বিজেপি-বিরোধিতার বৃহত্তম মঞ্চে তৃণমূলকে শামিল করার পরামর্শই তিনি প্রিয়ঙ্কাকে দিয়েছিলেন বলে খবর। যে সময়ে তাঁদের এই কথোপকথন হয়েছে, তখনও সনিয়া গাঁধী কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হননি (১১ অগস্ট সনিয়া দায়িত্ব নেন এবং রাজীবের জন্মদিন ছিল ২০ অগস্ট)। কিন্তু রাহুল গাঁধী তার ঢের আগেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। তা হলে কংগ্রেসের নেতৃত্বে না থাকা রাহুলের সিদ্ধান্তকেই কেন সর্বাধিক গুরুত্ব দিলেন প্রিয়ঙ্কা? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাহুল অন্তত স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, প্রদেশ কংগ্রেস যা স্থির করবে, তার বাইরে গিয়ে তিনি কিছু করবেন না। ভোটের আগে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা বামেদের সঙ্গে সমঝোতা চেয়েছিলেন, হয়েওছিল তাই। তৃণমূলের সঙ্গে কোনও অবস্থাতেই জোট গড়ার যে পক্ষপাতী নন তাঁরা, সে কথা হাইকমান্ডকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের পরেও।

Mamata Banerjee Congress TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy