প্রতিবাদ: এবিভিপি বিরোধী মিছিলে কানহাইয়া কুমার। মঙ্গলবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই ।
গুরমেহর কৌর আজ পথে নামেননি। আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতি সত্ত্বেও অবশ্য আজ বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বিরুদ্ধে পথে নামেন পড়ুয়ারা। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের পাশাপাশি ওই বিক্ষোভে যোগ দেন বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাও।
যেমন খালসা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সনিয়া। কলেজে পৌঁছানোর জন্য প্রায় দৌড়োচ্ছিলেন। দেখা হল, খালসা কলেজের যাওয়ার পথে। জানালেন, আইসা বা এসএফআই— কোনও ছাত্র সংগঠনের সদস্য তিনি নন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজ বিক্ষোভ সামিল হতে এসেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘স্বাধীন ভাবে মুখ খোলার প্রশ্নে কোথাও একটা বাধা আসছে। এবিভিপি-এর এই মাতব্বরির বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানাতে ছুটে এসেছি।’’ প্রভব, নেহা, মাহির বা গরিমা-এঁরা কেউই প্রত্যক্ষ রাজনীতি করেন না। ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে মাহের লোকসভায় ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে। তবু এবিভিপি-র ‘দাদাগিরি’-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ পৌঁছে গিয়েছেন খালসা কলেজে।
যে ভাবে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করে গুরমেহর মুখ খুলেছেন তাতে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন লেডি শ্রীরাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রীর শিক্ষিকারা। গুরমেহর নিজে সরে দাঁড়ালেও তাঁর ডাকেই সাড়া দিয়ে আজ প্রথম বিক্ষোভস্থলে পৌঁছন মিরিন্ডা হাউসের ছাত্রীরা। প্ল্যাকার্ড, হাতে ভারতের পতাকা, এবিভিপি-বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে একে একে পৌঁছে যান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কলেজ, জেএনইউ, জামিয়া, অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। ‘আজাদি মিছিল’-এ যোগ দেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। উপস্থিত ছিলেন সিপিআই এবং সিপিএম সাংসদ যথাক্রমে ডি রাজা ও সীতারাম ইয়েচুরি। অন্য দিকে এবিভিপি-র এই হামলার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে আজ থেকে অনশনে বসে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। পাল্টা পদক্ষেপে ২ মার্চ দিল্লিতে ‘তিরঙ্গা মিছিল’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবিভিপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy