বিহারে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরে দলের মধ্যে বিক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এল। আজ পটনায় কংগ্রেসের একগুচ্ছ নেতা-কর্মী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে রাজেশ রাম ও বিহারের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে কৃষ্ণ অল্লাভুরুকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন। রাহুল গান্ধীর ছবিতে ‘ডরো মত’ লেখা পোস্টার নিয়ে তাঁরা দাবি তুলেছেন, বিহারে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য রাজেশ ও কৃষ্ণকে পদ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। কংগ্রেস এ বার বিহারে ৬১টি আসনে লড়ে মাত্র ৬টি আসনে জিতেছে। কংগ্রেসের বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দলের কিছু নেতা ‘বিজেপির দালাল’ হিসেবে কাজ করছিলেন।
আজ বিহারের প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সরবত জাহান ফতিমা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস মুখে নারী ক্ষমতায়নের কথা বলে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৮ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। বিহারের ভোটের পরেই রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ দল ছেড়েছিলেন। এ বার কংগ্রেসের আর এক প্রবীণ নেতা তারিক আনোয়ার মুখ খুলে বলেছেন, ‘‘নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের পরে প্রদেশ নেতৃত্বের অবিলম্বে হারের পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা উচিত ছিল।’’ হারের দায় স্থির করার দাবি জানিয়ে তারিকের যুক্তি, ‘‘এই হারের পিছনে যাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে, তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল।’’ রাজেশ রাম ও কৃষ্ণ অল্লাভুরুকে পদ থেকে সরানোর দাবিকে কার্যত সমর্থন জানিয়ে তারিকের প্রশ্ন, ‘‘এই আন্দোলনের দরকার কেন পড়ল? কংগ্রেস গোটা দেশে ‘ভোট চোর, গদ্দি ছোড়’ বলছে। বিহারে কংগ্রেস স্লোগান তুলছে, ‘টিকিট চোর, গদ্দি ছোড়’।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)