সব বয়সি মহিলাদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট দরজা খুলে দিয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তবু বিক্ষোভ-প্রতিবাদ টপকে পঞ্চাশের নীচের কোনও মহিলা এত দিন কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বুধবার কাকভোরে তৈরি হল ইতিহাস! শবরীমালা মন্দিরে প্রথম পা রাখলেন ৪২ বছরের কনকদুর্গা এবং ৪৪ বছরের বিন্দু। আর মহিলারা ঢুকে পড়ায় ‘শুদ্ধ’ করার জন্য তার পরে প্রায় ঘণ্টাখানেকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল মন্দিরের দরজা। যে পদক্ষেপকে ‘আদালত অবমাননা’ বলে বর্ণনা করেছেন কেরলের মন্ত্রী ই পি জয়রাজন এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ারি বালকৃষ্ণন। তাঁদের বক্তব্য, ‘অস্পৃশ্যতা’র কোনও আইনি মান্যতা নেই।
শবরীমালায় ঢুকে পড়েছেন দুই মহিলা, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গোটা কেরল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। শুরু হয় অবরোধ-সংঘর্ষ। মন্দিরে মহিলা প্রবেশের বিরুদ্ধে কাল, বৃহস্পতিবার গোটা কেরল জুড়ে বন্ধের ডাক দিয়েছে শবরীমালা কর্মসমিতি। ওই সমিতির নেত্রী কে পি শশিকলার অভিযোগ, ‘ভীরুর মতো’ সরকার কাকভোরে সকলের চোখের আড়ালে দুই মহিলাকে শবরীমালায় ঢুকিয়েছে। এটা ভক্তদের প্রতি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’। আয়াপ্পা ধর্মসেনার নেতা রাহুল ঈশ্বর বলেন, ‘‘গোপনে ওই দুই মহিলা শবরীমালা মন্দিরে ঢুকেছেন। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন অবশ্য বিতর্ক উড়িয়ে পাল্টা বলেছেন, ‘‘আমরা কাউকে জোর করিনি। আমাদের অবস্থান একটাই— মন্দিরে মহিলারা যেতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে।’’