পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহামলায় নিহতদের ‘শহিদ’ ঘোষণা করা হোক, এই জনস্বার্থ মামলা খারিজ হয়ে গেল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এটি প্রশাসনিক বিষয়। এ ক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তার পরই সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয় আদালত।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আয়ুষ আহুজা নামে এক আইনজীবী। তিনি আদালতে দাবি করেন, পহেলগাঁও কাণ্ডে মৃতদের ‘শহিদ’-এর মর্যাদা দেওয়া হোক। সেই মামলাটির শুনানি প্রধান বিচারপতি শীল নাগু এবং বিচারপতি সুমিত গোয়েলের বেঞ্চে হয়েছিল। মামলাটি পর্যবেক্ষণের পর আদালত জানায়, এই ধরনের বিষয় উত্থাপন করার সঠিক সময় নয় এটি। পাশাপাশি আদালত মামলাকারীর কাছে এই প্রশ্নের উত্তরও জানতে চেয়েছিল যে, পহেলগাঁওয়ে নিহতদের ‘শহিদ’ ঘোষণা করার বিষয়টি কি ২২৬ অনুচ্ছেদের মধ্যে পড়ে? এর একটি উদাহরণও দিতে বলা হয় মামলাকারীকে।
তার পরই আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক বিষয়। এ বিষয়ে আদালতের কিছু করার নেই। কাদের ‘শহিদ’ ঘোষণা করা হবে, সেটি আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তার পরই এ মামলার রায় সংরক্ষিত রাখে আদালত। মঙ্গলবার মামলাটি আবার আদালতে উঠলে তা খারিজ করে দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, মামলাটি প্রথম আদালতে উঠলে মামলাকারী আইনজীবী আহুজা আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যে, নিরীহ পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে খুন করা হয়েছিল। অতএব, এই জঙ্গিহানায় নিহতদের ‘শহিদ’-এর মর্যাদা দেওয়া হোক। কিন্তু মামলাকারীর সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সত্য পাল। তিনি মামলাকারীর এই দাবি এবং দাবি তোলার সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আদালতে পাল্টা তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার যেটা করছে, তার সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই মামলাকারীর। দেশ যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে। এই সময়ে এই ধরনের বিষয় উত্থাপন করা ঠিক নয়।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের ২৬ জনকে খুন করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। পাকিস্তানও লাগাতার ভারতের উপর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। যদিও সব হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে।