Advertisement
E-Paper

রাহুল না হলে কোনও তরুণকেই চান অমরেন্দ্র

এত দিন অশোক গহলৌত, মল্লিকার্জুন খড়্গে, সুশীলকুমার শিন্দের মতো প্রবীণ নেতার নাম কংগ্রেসের সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে ঘুরছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০৩:০০
মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে পটনার আদালতে রাহুল। ছবি: পিটিআই।

মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে পটনার আদালতে রাহুল। ছবি: পিটিআই।

প্রবীণ নয়। রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতির পদে না থাকলে দলেরই কোনও তরুণ তুর্কিকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হোক বলে দাবি তুললেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ।

এত দিন অশোক গহলৌত, মল্লিকার্জুন খড়্গে, সুশীলকুমার শিন্দের মতো প্রবীণ নেতার নাম কংগ্রেসের সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে ঘুরছিল। অনেকের মত ছিল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্রও এ পদের যোগ্য দাবিদার। কিন্তু আজ ক্যাপ্টেন নিজেই বলেছেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর পদ ছাড়ার দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্তের পরে আশা করব, দলকে উজ্জীবিত করতে কংগ্রেস সভাপতি পদে আরেক জন তরুণ, উদ্যমী নেতাকে দেখতে পাব।’’

রাহুল ছাড়া সচিন পাইলটের মতো অন্য কেউ কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসলে দলের অন্যরা, বিশেষত প্রবীণ নেতারা তাঁকে মানবেন কি না, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। সেই কারণেই এত দিন এমন নেতাদের নাম নিয়ে আলোচনা চলছিল, যাঁরা প্রবীণ। আবার একই সঙ্গে গাঁধী-পরিবারের আস্থাভাজন। ৭৭ বছরের মহারাষ্ট্রের দলিত নেতা সুশীল কুমার শিন্দে, ৭৬ বছর বয়সী কর্নাটকের মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম সেই কারণে আলোচনায় ছিল। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বয়সও সত্তর ছুঁইছুঁই।

আজ অমরেন্দ্র কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তরুণ ভারতের জন্য তরুণ নেতা দরকার। যিনি জনসংখ্যার বিরাট তরুণ অংশের উচ্চাকাঙ্খা বুঝতে পারবেন। আবার তৃণমূল স্তরের সঙ্গেও যাঁর যোগাযোগ থাকবে। কারণ জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশর বয়সই ৩৫ বছরের কম। দলের শীর্ষপদে বদল হলে তার প্রতিফলন থাকা দরকার। তরুণ নেতাদের দলের ভার সামলানোর দায়িত্ব দেওয়ার রাস্তা রাহুলই দেখিয়েছেন। ক্যাপ্টেনের এ হেন মন্তব্যের পরে প্রশ্ন উঠেছে, অমরেন্দ্র কি নিজের কোনও পছন্দের নেতাকে সভাপতির পদে দেখতে চাইছেন? না কি অন্য প্রবীণ নেতাদের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে চাইছেন? কংগ্রেসের অনেক নেতা অবশ্য মনে করছেন, ক্যাপ্টেন বাস্তববাদী কথাই বলেছেন।

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু কমিটি সেই ইস্তফা গ্রহণ করেননি। রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নতুন সভাপতি বাছাইয়ের প্রক্রিয়াতেও থাকবেন না। আগামী সপ্তাহে রাহুল-সনিয়া বিদেশে চলে গেলে ফের ওয়ার্কিং কমিটি ডাকা হবে বলে জল্পনা রয়েছে। আজ কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের সঙ্কট নিয়ে গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসের ওয়ার রুমে শীর্ষ নেতাদের বৈঠক বসে। বৈঠকের পরে‌ অবশ্য কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘আজকের বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি পদ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সনিয়া-রাহুল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ওয়ার্কিং কমিটি ডাকা হলে সেখানে সব সদস্যই হাজির থাকবেন। বিজেপির ছড়ানো গুজবে কান দেওয়ার দরকার নেই। যত ক্ষণ না ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তত ক্ষণ রাহুল গাঁধীই কংগ্রেস সভাপতি। তিনি এবং ওয়ার্কিং কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Punjab Amarinder Singh Congress Rahul Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy