Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩

ধর্ষক গুরমিতের আর্জি শুনতে রাজি হাইকোর্ট

একই সঙ্গে এই মামলায় গুরমিতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই ধর্ষিতা। তাঁদের দু’জনের আবেদনও হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫১
Share: Save:

সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জোড়া ধর্ষণে অভিযুক্ত ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহ। তার সেই আর্জি গৃহীত হয়েছে বলে আজ জানিয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে এই মামলায় গুরমিতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই ধর্ষিতা। তাঁদের দু’জনের আবেদনও হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী।

Advertisement

গত ২৫ অগস্ট হরিয়ানার সিরসা জেলার পাঁচকুলার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করে গুরমিতকে। ডেরারই দুই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে কুড়ি বছরের জেল হয়েছে তার। রোহতকের সুনারিয়া জেলে আপাতত বন্দি রয়েছে সে। তবে এক মাসের মাথায় সিবিআই আদালতের সাজার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে। তার আর্জি ছিল, দু’টি মামলাতেই তার সাজা কমানো হোক। সেই আবেদনই আজ গ্রহণ করেছে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি সুধীর মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ। গুরমিতের আইনজীবী এস কে গর্গ নারওয়ানা জানিয়েছেন, দু’টি ধর্ষণ মামলার সাজা কমানোর আর্জি আলাদা করে গৃহীত হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশ, সিবিআই আদালতের নির্দেশ মতো আগামী দু’মাসের মধ্যে তিরিশ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে গুরমিতকে। নারওয়ানা জানাচ্ছেন, এই আবেদনের রায় তাঁদের পক্ষে গেলে ওই টাকা তাঁর মক্কেল ফেরত পেয়ে যাবে। যদিও একই সঙ্গে আদালতকে আজ নারওয়ানা জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল দীর্ঘদিন ধরে সংসারত্যাগী। সুতরাং তার পক্ষে তিরিশ লক্ষ টাকা জোগাড় করা খুবই কঠিন কাজ। গুরমিত কিছুতেই এত পরিমাণ টাকা জমা করতে পারবে না।

আরও পড়ুন:নীতির প্রশ্নে আডবাণীরা পদত্যাগই করেছিলেন

ধর্ষিতাদের আইনজীবী নবকিরণ সিংহ আবার আজই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ৪ অক্টোবর গুরমিতের যাবজ্জীবনের সাজা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর মক্কেলরা। আজ সেই আর্জিও শুনতে রাজি হয়েছে হাইকোর্ট। নবকিরণের বক্তব্য, ডেরা প্রধান হওয়ার দরুণ তাঁর মক্কেলদের বাবার ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল গুরমিতের। তা না করে, উল্টে আশ্রমের দুই ভক্তের উপর যৌন নির্যাতন করে সে যে অপরাধ করেছে, তার সাজা যাবজ্জীবনই হওয়া উচিত। দু’টি আর্জিরই রায় একসঙ্গে শুনবে আদালত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.