পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হল পঞ্জাবে। ধৃত গগনদীপ সিংহ ওরফে গগন পঞ্জাবের তরন তারন জেলার বাসিন্দা। অভিযোগ পাকিস্তানের এক খলিস্তানপন্থী নেতা গোপাল সিংহ চাওলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল গগনের। ওই খলিস্তানপন্থী নেতা পাকিস্তানি জঙ্গি হাফিজ় সইদের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি করা হয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় ভারতীয় সেনার গতিবিধি সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য ধৃত ব্যক্তি পাকিস্তানে পাচার করতেন বলে অভিযোগ।
পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব জানান, মঙ্গলবার এক যৌথ অভিযানে ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে পাকিস্তানের খলিস্তানপন্থী নেতা গোপালের সঙ্গে ধৃতের যোগাযোগ ছিল। গোপালের মাধ্যমেই পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সঙ্গে গগনের পরিচয় হয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। ডিজি জানান, পাকিস্তানি এজেন্টদের থেকে গগন টাকাও পেয়েছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
খলিস্তানপন্থী ওই নেতার নাম এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ভারতবিরোধী ষড়যন্ত্রে উঠে এসেছে। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হয়েও তিনি কাজ করেন বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। বিশেষ করে ভারত থেকে যে শিখ জাঠাগুলি ধর্মীয় কর্মসূচির জন্য পাকিস্তানে যেত, সেই জাঠাগুলির মধ্যে থেকে ‘দুর্বল শিকার’ বেছে নেওয়ার কাজ করতেন তিনি। ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ় সইদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। জঙ্গি নেতা হাফিজ়ের সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও প্রকাশ্যে আসে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
ধৃত গগনের মোবাইল ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। ওই মোবাইল থেকেই পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়া আইএসআই-এর অন্তত ২০ জনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। বস্তুত, এর আগে ২০১৯ সালেও গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা এক ব্যক্তিকে জলন্ধর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনিও আইএসআইকে তথ্য পাচার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।