শেষ পর্যন্ত একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু তথা খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহকে গ্রেফতারের জন্য সক্রিয় হল পঞ্জাব পুলিশ। শনিবার দুপুরে পুলিশি তৎপরতা শুরুর খবর মেলার পরেই পঞ্জাব সরকার রাজ্য জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে আজনালা হিংসার জেরেই ‘ভাই সাব’ (অনুগামীদের কাছে এই নামেই পরিচিত অমৃতপাল) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারের জন্য সক্রিয় হয়েছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সরকার। শনিবার সকালে মোগা এলাকা থেকে অমৃতপালের সংগঠন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ (বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী’)-এর ছ’জন নেতাকে আটক করে পুলিশ। তার পরেই খলিস্তানপন্থী নেতাকে ধরতে তৎপরতা শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রের খবর, অমৃতপাল এখন জালন্ধরের শাহকোট এলাকার মেহতপুর গ্রামে রয়েছেন। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র প্রধানের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রধারী দেহরক্ষীরা রয়েছেন। রক্তপাত এবং প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে তাই চূড়ান্ত সাবধানতা বজায় রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অমৃতপাল ঘনিষ্ঠ লভপ্রীত সিংহ তুফানকে দাঙ্গা এবং অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল অমৃতসরের আজনালা থানা। তার পরই আজনালায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লভপ্রীতকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানা ঘেরাও করেন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র সমর্থকরা। লাঠি, তরোয়াল এবং বন্দুক নিয়ে কয়েকশো সমর্থক থানার ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। হামলায় জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন:
প্রয়াত রাজনীতিক দীপ সিধু পঞ্জাবের জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে লড়ার জন্য ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ গড়েছিলেন। ২০২২-এ তাঁর মৃত্যুর পর সংগঠনের দায়িত্ব নেন আশির দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের ভক্ত অমৃতপাল।