গর্ভপাতের পর কুকুরকে ভ্রূণ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
বেআইনি গর্ভপাতের পর কুকুরকে ভ্রূণ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গর্ভপাতের পর ক্রমে তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার পর মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযুক্ত চিকিৎসককে খুঁজছে পুলিশ।
ঘটনাটি বিহারের হাজিপুরের। তরুণীর মৃত্যুর পর তাঁর বাবা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই গর্ভপাত করানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার পর গর্ভপাতের কারণে মৃত্যু হয় তাঁর মেয়ের।
তরুণীর পরিবারের দাবি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে কিছু ওষুধপত্র দেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই ওষুধ খেয়েই তরুণীর অবস্থার অবনতি হয় বলে অভিযোগ। গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন তরুণী। অস্ত্রোপচারের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তরুণীকে পটনায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ১১ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, গর্ভপাতের জন্য যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, তার ফলে তরুণীর শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। তেমনটাই দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের আরও দাবি, অভিযুক্ত চিকিৎসক আসলে ভুয়ো।
মৃতের এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গর্ভপাতের পর চিকিৎসকের কাছে শেষকৃত্যের জন্য ভ্রূণটি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি জানান, প্রমাণ থাকলে তিনি আইনি জটিলতায় ফেঁসে যেতে পারেন। তাই পোষা কুকুরকে ভ্রূণ খাইয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। অভিযুক্ত এবং তাঁর স্ত্রী পলাতক। তাঁদের খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy