ছবি পিটিআই।
দেশ ও দশের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রজাতন্ত্র দিবস এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে। শুক্রবারই ঘরে-বাইরে বেশ কিছু নাশকতামূলক কার্যকলাপের আঁচ পেয়েছে দিল্লি।
এ বার ফসলের মরসুমে কৃষকেরা নিজের-নিজের রাজ্যে। গত বছর ২৬ জানুয়ারি লাল কেল্লায় গোলমালের পরে অনেক জল বয়ে গিয়েছে যমুনা দিয়ে। ক’মাস আগেই বাতিল হয়েছে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন। ক’মাস পরেই ভোট কৃষিপ্রধান পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে। এই আবহে, পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরের সময়ে নিরাপত্তার ত্রুটির অভিযোগ ঘিরে চলছে তরজা।
এর মধ্যেই শুক্রবার সকালে পূর্ব দিল্লির গাজিপুর ফুলের বাজারের মূল ফটকের সামনে বেওয়ারিশ ব্যাগে বিস্ফোরকের খোঁজ মেলে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘‘বড় নাশকতার ছক বানচাল করা গিয়েছে।’’ এনএসজির ডিরেক্টর এমএ গণপতি সংবাদ সংস্থাকে আজ জানিয়েছেন, বম্ব স্কোয়াড প্রাথমিক ভাবে তার মধ্যে আরডিএক্স এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো রাসায়নিক যৌগ খুঁজে পেয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, ভিতরে টাইমারও ছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, আঁটঘাট কষেই বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
একই দিনে সন্ধ্যায়, বিন্ধ্যের দিক থেকে আসার পথে গুজরাতে বেলাইন হতে হতে রক্ষা পেয়েছে মুম্বই-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। সুরাটের আইজি রাজকুমার পান্ডিয়ান শনিবার বলেন, ‘‘কে বা কারা লাইনে সিমেন্টের থাম রেখে গিয়েছিল। ট্রেনটি ধাক্কা দেয়।’’ তিনি জানান, কেউ হতাহত হননি, তবে মনে করা হচ্ছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।
ওই দিন উৎকলেও উদ্ধার হয়েছে বিপুল বিস্ফোরক। ওড়িশার স্বাভিমানের কাছের জঙ্গলে তল্লাশির সময়ে সেগুলি মিলেছে। মালকানগিরি জেলার পুলিশ সুপার নীতেশ বাধবানীর দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানার জোদাম্বা থানার ওই এলাকা থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক, ওষুধ ও সাজ-সরঞ্জাম। গত এক মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার সেখানে মাওবাদীদের কার্যকলাপ টের পাওয়া গেল। তাঁর দাবি, নাশকতা করে জনজীবন বিপর্যস্ত করার ছক ছিল। তল্লাশির সময়ে বিস্ফোরক ফেলে ঘাঁটি ছেড়ে পালায় মাওবাদীরা।
শ্রীনগরেও শুক্রবার একটি প্রেসার কুকার বোমা খুঁজে পেয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্য দিকে, পঞ্জাবের আইজি (বর্ডার রেঞ্জ, অমৃতসর) মোহনীশ চাওলা জানান, পাকিস্তানের চোরাকারবারিদের গতিবিধির খবর পেয়ে অভিযান হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে অটারি থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ও এক লক্ষ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy