ঠিক দু’বছর আগে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পটনা বৈঠকে আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব রাহুল গান্ধীর কাছে বিবাহের প্রসঙ্গ পেড়েছিলেন। আর আজ তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদব সেই বিহারেরই আরারিয়ার মঞ্চে পাকেচক্রে একই প্রসঙ্গে ফিরলেন। দু’ক্ষেত্রেই নিজের বিয়ে নিয়ে সমান সপ্রতিভ এবং একই রকম অনিশ্চিত লোকসভারবিরোধী দলনেতা!
ভোটাধিকার যাত্রার মাঝে আজ আরারিয়াতে রাহুল-তেজস্বী একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছিলেন। তারই মাঝে প্রশ্ন এল, চিরাগ পাসোয়ানের একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চেয়ে। চিরাগ সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, ‘‘তেজস্বী কংগ্রেসের পিছনে পিছনে ঘুরছেন।’’ শুনে তেজস্বী বলেন, ‘‘চিরাগের মন্তব্য আজ আলোচনার বিষয় নয়, গণতন্ত্রের হত্যাই আলোচনার বিষয়। তবে উনি যার হনুমানই হন, আমরা জনতার হনুমান।’’ প্রসঙ্গত চিরাগ প্রায়ই বিজেপির প্রতি তাঁর আনুগত্য দেখাতে বলে থাকেন, তিনি নরেন্দ্র মোদীর ‘হনুমান’। সেই প্রসঙ্গে বিঁধে এর পর তেজস্বী বলেন, ‘‘তবে একটা কথা। উনি বড় ভাই, এ বার ওঁর বিয়ে করা উচিত!’’
সম্ভবত তেজস্বী এ কথা বলার পরই বুঝতে পারেন তির তাঁর পাশে বসা ব্যক্তিটির দিকেও ধাবিত হতে পারে! আর হলও সেটাই। রাহুল সঙ্গে সঙ্গে মাইক কেড়ে নিয়ে হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘এই উপদেশ আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য!’’ একটু অপ্রস্তুত তেজস্বী বলে ওঠেন, ‘‘পাপা তো কবে থেকেই বলছেন তোমায়!’’ রাহুলের জবাব, ‘‘হ্যাঁ ওঁর সঙ্গে এ ব্যাপারেকথা চলছে!’’
দু’বছর আগে পটনার বিরোধী মঞ্চে লালু রাহুলকে বলেছিলেন, ‘‘এ বার বিয়েটা করেই ফেলো। এখনও বিয়ের বয়স খুব বেশি পেরোয়নি। আমার কথা শোনো। বিয়েটা করে নাও। তোমার মা আমাকে বলেছিলেন, তুমি তাঁর কথা শোনো না। বিয়ের জন্য উনি আমাকেই রাজি করাতে বলেছিলেন।” কিছুটা স্নেহের সুরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “তুমি বিয়ে করলে আমরা বরযাত্রী হয়ে যাব।” এর পরেই লালুর কথার জবাবে রাহুল বলেছিলেন, “আপনি যখন বলে দিয়েছেন, তখন বিয়েও হয়ে যাবে।”
সেই ‘কথা’ আজও চলছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)