প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। — ফাইল চিত্র।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাবে আপত্তি উঠল। সেই আপত্তি তুললেন খোদ রাহুল গান্ধী। রাহুলের বক্তব্য, এতে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি কংগ্রেসকে ‘পরিবারবাদী দল’ বলে নিশানা করার আরও বেশি সুযোগ পেয়ে যাবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে দলের নতুন ওয়ার্কিং কমিটি চূড়ান্ত করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সময়েই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের অধীনে দু’জন বা এক জন কার্যনির্বাহী সভাপতি নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। উঠে আসে প্রিয়ঙ্কার নাম। প্রিয়ঙ্কা এখন এআইসিসি-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। তিনি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে কার্যনির্বাহী সভানেত্রী করার প্রস্তাব শুনে রাহুল তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেন।
কংগ্রেসের একটি সূত্রের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ঙ্কা শুধু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবেই থাকবেন। তাঁকে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হবে। রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে তাঁকে পাঠানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে কার্যনির্বাহী সভাপতি করার ভাবনা রয়েছে। তাঁর বদলে রাহুল, খড়্গে, দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে বসানো হবে। তবে প্রিয়ঙ্কাকে কার্যনির্বাহী সভানেত্রী করার প্রস্তাব রাহুল নাকচ করে দেওয়ায় এমনও হতে পারে, শেষ পর্যন্ত ওই পদ তৈরিই হল না।
রায়পুরে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ওয়ার্কিং কমিটিতে অর্ধেক সদস্য ৫০ বছরের কমবয়সি হবেন। দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, মহিলা, ওবিসি-দের মধ্যে থেকে ৫০ শতাংশ সদস্য রাখা হবে। সেই সমীকরণ মেনে ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের পাশাপাশি এখন থেকে এআইসিসি-র এক জন নেতাকে শুধুমাত্র একটি রাজ্যেরই দায়িত্ব দিতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। ওয়ার্কিং কমিটি গঠন নিয়ে খড়্গের সঙ্গে রাহুলের বৈঠক হয়েছে।
সোমবার ভোটমুখী রাজস্থানের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে কংগ্রেসের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত আঙুলে চোট পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠক হয়নি। আর এক ভোটমুখী রাজ্য মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy