কেন্দ্রকে কটাক্ষ রাহুলের। ফাইল চিত্র।
দশম থেকে দ্বাদশের পাঠ্যক্রমে বেশ কিছু বিষয় ছেঁটে ফেলেছে সিবিএসই। সোমবার তা নিয়ে টুইটে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী। বিঁধলেন আরএসএস-কেও। সিবিএসই-র এই পদক্ষেপ ‘অবাস্তব ও অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউয়ের বিজয় কুমার চৌধরিও।
চলতি শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই-র একাদশ-দ্বাদশের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ে কাটছাঁট হয়েছে। বাদ পড়েছে অসহযোগ আন্দোলন, ঠান্ডাযুদ্ধ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় ইসলামি সাম্রাজ্যের উত্থান, মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাস, শিল্পবিপ্লবের মতো কিছু বিষয়। দশম শ্রেণি ‘খাদ্য সুরক্ষা’ নামে একটি অধ্যায়ে থাকছে না কৃষিতে বিশ্বায়নের প্রভাব। উর্দু কবি ফৈজ় আহমেদ ফৈজ়ের দু’টি কবিতার অনূদিত ছত্র ছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িকতা ও রাজনীতি’ অধ্যায়ে। বাদ পড়েছে। থাকছে না ‘গণতন্ত্র ও বিভিন্নতা’। কেন, সেই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
রাহুল এ দিন সিবিএসই (সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন) এবং আরএসএস-কে (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ) একযোগে বিঁধে একটি ছবি টুইট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি কাগজ কুচোনোর যন্ত্র। উপরে লেখা ‘রাষ্ট্রীয় শিক্ষা শ্রেডার’ (আরএসএস)। ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অব সাপ্রেসিং এডুকেশন’-এর (সিবিএসই) পাঠ্যসূচির পৃষ্ঠা ঢোকানো হচ্ছে। ফালাফালা হয়ে যাচ্ছে ‘কর্মসংস্থান’, ‘সাম্প্রদায়িক সংহতি’, ‘প্রতিষ্ঠান’।
অন্য দিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির সমীকরণ নিয়ে জল্পনা বেড়েছে পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে। সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধরি নীতীশের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সোমবার তিনি সিবিএসই-র পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এটা অবাস্তব এবং অযৌক্তিক’’।
কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির অনেক দিনের অভিযোগ, ইতিহাসের বয়ান সঙ্ঘের ইচ্ছা ও আদর্শ মাফিক সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। উপমহাদেশের ইতিহাসে ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতির অবদান এবং সামাজিক বিপ্লবের মতো বিষয়গুলি নতুন প্রজন্মের ধ্যানধারণা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও জারি রয়েছে। তাদের অভিযোগ, সেই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার অংশ এই পাঠ্যক্রম-পরিবর্তন।
২০২০ সালেও সিবিএসই একাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মতো অধ্যায়গুলি পড়ুয়াদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। যা নিয়েও বিতর্ক হয় বিস্তর। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে তা আবার ফিরে এসেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy