সাফাইকর্মীদের সঙ্গে রাহুল। শনিবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
রাজধানীতে তুঙ্গে উঠল জঞ্জাল নিয়ে রাজনীতি।
গত কাল সাফাইকর্মীদের হয়ে পথে নেমেছিলেন রাহুল গাঁধী। আজ ময়দানে নামল বিজেপি এবং আম আদমি পার্টি (আপ)। একেবারে ঝাড়ু হাতে।
ঘটনাচক্রে কাল রাহুল সরব হওয়ার পরে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সাফাইকর্মীদের বেতন মেটাতে ৪৯৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করার নির্দেশ দেন উপরাজ্যপাল নজীব জঙ্গ। বিষয়টিকে নিজেদের জয় বলে প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। তার জবাব দিতেই এ দিন ঝাড়ু হাতে জঞ্জাল সাফ করতে নেমে পড়লেন বিজেপি এবং আপ নেতারা। কালই আপ শিবির থেকে সাংবাদিকদের মেসেজ করেও জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল কোন নেতা কোথায় জঞ্জাল সাফাইয়ে যাবেন।
কিন্তু এত দিন যখন দিল্লির রাজপথে জঞ্জালে উপচে পড়ছিল, তখন নেতারা কোথায় ছিলেন? আপ নেতা মণীশ সিসৌদিয়ার অভিযোগ, ‘‘সাফাইকর্মীদের বেতন দেওয়ার কথা বিজেপি পরিচালিত দিল্লি পুরসভার। তারা টাকা না দেওয়ার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’
সাফাইয়ের এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় বিজেপিও। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন স্বচ্ছ ভারতের ডাক দিয়েছেন। কংগ্রেস ও আপ শিবির সাফাইয়ে নেমে পড়ায় তড়িঘড়ি তাই ঝাড়ু হাতে তুলে নেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দিল্লি সরকারের ব্যর্থতার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’
গত কাল রাহুলের অবস্থান-বিক্ষোভের পরই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করায় আজ চড়া সুরে প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। দলের দাবি, আগের কংগ্রেস সরকারের সময় এমন ঘটনা ঘটেনি। এ বার রাহুল গাঁধীর হস্তক্ষেপের কারণেই সমস্যার দ্রুত সমাধান হল। রাহুল অবশ্য কৃতিত্ব নিতে নারাজ। সাফাইকর্মীদের একটি দল তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে গেলে তিনি তাঁদের বলেন, ‘‘কার জন্য কাজ হল, সেটা বড় ব্যাপার নয়। দল সব সময় গরিবের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে আমি ফের রাস্তায় নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy