পটনার সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চেপে ধরলেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
সংসদে উঠছে ‘মোদী-মোদী’ ধ্বনি, আর নিজের নামে টেবিল চাপড়াচ্ছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। বাজেটের দিনের ঘটনা। দু’দিন পরে পটনায় চেপে ধরলেন রাহুল গাঁধী।
প্রশ্ন তুললেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী টেবিল চাপড়ে তালি দিচ্ছেন। গোটা বিজেপির সংসদীয় দল পাঁচ মিনিট ধরে তালি দিচ্ছে। যেন এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটল! ঘটনাটা কী? কৃষকদের দিনে সাড়ে তিন টাকা দেওয়া হবে! আর চাকরি নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। বিহারও এখন বেকারত্বের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের ঋণ মাফ করতে পারেন না। কিন্তু অনিল অম্বানীকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দিতে পারেন। ওই টাকা দিয়ে তিন বার একশো দিনের টাকা জোগানো যায়, তিন বার শ্রমিকদের রোজগার হয়।’’ বস্তুত মুদ্রা প্রকল্পে কত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, তা নিয়ে তথ্যের অধিকার আইনে একটি প্রশ্নের জবাব আজ কার্যত এড়িয়ে গিয়েছে মোদী সরকার।
রাফাল নিয়ে অনিল অম্বানীকে ৩০ হাজার কোটি টাকার সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, এই অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করছেন রাহুল। আজ তার সঙ্গেই জুড়ে দিলেন দেশের রেকর্ড বেকারত্ব আর কৃষি সঙ্কটের কথা। প্রায় তিন দশক পরে পটনার ঐতিহাসিক গাঁধী ময়দানে সভা করলেন বিহারে জোটের সঙ্গীদের নিয়ে। হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যের সদ্য বিজয়ী কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেসরকারি বিমানের ইকনমি শ্রেণিতে চেপে গিয়েছেন রাহুল। সভায় জানিয়েছেন, এরপর কেন্দ্রে আসছে কংগ্রেসেরই সরকার। রাহুল বলার আগেই জনতা সেখানে বলতে শুরু করছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’
বাজেট ঘোষণায় যে ফাঁকফোকর আছে, জানতেন অমিত শাহ। তাই আজ দিল্লিতে বাজেট ঘোষণায় সকলের ‘লাভ’ হওয়ার কথা মেলে ধরলেন তিনি। গত কাল পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস প্রতি দশ বছরে এক বার করে কৃষি ঋণ মাফ করে। তার থেকে কেন্দ্রের ঘোষণা ঢের ভাল। কারণ, প্রতি বছর কৃষকেরা সরাসরি টাকা পাবেন। অঙ্কটিও কংগ্রেসের থেকে অনেক বেশি। অমিত শাহও একই যুক্তি পেশ করলেন। সঙ্গে দাবি করলেন, ক্ষেতমজুরদের আবাসন, বিমা, রান্নার গ্যাসের মতো অন্য প্রকল্পে পুষিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রোজগার প্রসঙ্গে দাবি করলেন, ‘‘আর কেউ মানুন বা না মানুন, স্কুটার মেরামত করাও রোজগার। এমনই অনেক প্রকল্পেও অনেক রোজগার তৈরি হয়েছে।’’ রাজনাথ সিংহ অবশ্য বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী অনেক চেষ্টা করেছেন। তবু আমরা সন্তুষ্ট নই। আরও করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy