‘ভোট চুরি’ নিয়ে ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। আগামিকাল সকালে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করতে চলেছেন। যেখানে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে কংগ্রেসের দাবি। ফলে কালই সেই ‘বোমা’ ফাটতে চলেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আর আজ দিল্লিতে অমিত শাহ অভিযোগ তুলেছেন, ‘রাহুলবাবা’ বিহারে অনুপ্রবেশকারী বাঁচাও যাত্রা করে এসেছেন। কংগ্রেস চায়, অনুপ্রবেশকারীরা ভোটার তালিকায় থাকুক।
এ দিকে, বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় মানুষের সাড়া পেয়ে উজ্জীবিত কংগ্রেস এ বার পটনায় কংগ্রেসের বর্ধিত কার্যকরী কমিটির বৈঠক বসাতে চলেছে। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই বৈঠকে বিহারের রণকৌশলের সঙ্গে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে গোটা দেশে দল কী রণকৌশল নেবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। তার দু’দিন পর প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা বিহারে খগড়িয়ায় জনসভা করে প্রচারে নামবেন। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ গোটা দেশ থেকে কংগ্রেস নেতাদের পটনায় হাজির করে কংগ্রেস নেতৃত্ব ভোটারদের পাশাপাশি মহাগঠবন্ধনের প্রধান শরিক আরজেডি-র সামনেও শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছেন। যাতে আরও বেশি সংখ্যক জেতার মতো আসন আদায় করা যায়।
তবে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বিহারের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারের রাজ্য নেতাদের নিচু তলার সংগঠনে মন দিতে হবে। ‘ভোট চুরি’-র সঙ্গে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, সংরক্ষণের মতো বিষয় জুড়ে প্রচারে নামতে হবে। শুধুমাত্র রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রার উপরে ভরসা করে বসে থাকলে চলবে না।
পাঁচ বছর আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ৭০টিতে লড়ে মাত্র ১৯টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে জোটের হারের জন্য কংগ্রেসের খারাপ ফলকেই দায়ী করা হয়েছিল। উল্টো দিকে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, দলের ভাগ্যে ২৭টি বাদে সমস্ত হারা আসন জুটেছিল। বিহারে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ অল্লাভুরুর যুক্তি, ভাল ও খারাপ আসনের সমবণ্টন হওয়া উচিত। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, এ বার কংগ্রেস ৬০টি আসনেও লড়তে রাজি। কিন্তু ভাল আসন বেশি চাই। উল্টো দিকে আরজেডি শিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেস বেশি আসন চায় ঠিকই, কিন্তু সেখানে কে প্রার্থী হবে, তাবলতে পারে না। কারণ, কংগ্রেসের সংগঠনই নেই।
ভোটার অধিকার যাত্রার সাফল্যে ভরসায় বসে না থেকে তেজস্বী যাদব নিজে ফের ১০টি জেলায় পাঁচ দিনের বিহার অধিকার যাত্রায় বেরিয়ে পড়েছেন। বিজেপি কটাক্ষ করছে, দু’সপ্তাহের ভোটার অধিকার যাত্রায় রাহুল-তেজস্বী একসঙ্গে থাকলেও রাহুলের উপরেই প্রচারের আলো পড়েছে। তাই তেজস্বীকে ফের বাসে চেপে প্রচারে বের হতে হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের বক্তব্য, ভোটার অধিকার যাত্রায় যে সব জেলা বাদ ছিল, তেজস্বী মূলত সেখানেই প্রচার করছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)