Advertisement
E-Paper

মোদী-শাহদের আরও ধাক্কা দিতে প্রস্তুত রাহুল

কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, এই বিজেপি বিরোধী হাওয়া ধরে রাখতে পারলেই সামনের বিধানসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ধাক্কা দেওয়া যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫৬
রাহুল গাঁধী

রাহুল গাঁধী

সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না বিজেপির।

একের পর একের হারের খবর আসছে। গত কয়েক মাসে দেশে লোকসভা বা বিধানসভার যে ক’টি উপনির্বাচন হয়েছে, তার প্রায় সব ক’টিতেই হারতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দলকে। উল্টোদিকে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কংগ্রেস শিবির। চলতি মাসেই সভাপতির পদে রাহুল গাঁধীর উত্থান ঘটবে। দীপাবলির পরেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে তার দিন ক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, এই বিজেপি বিরোধী হাওয়া ধরে রাখতে পারলেই সামনের বিধানসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ধাক্কা দেওয়া যাবে। হিমাচল, গুজরাত, রাজস্থান— আসন্ন সব ক’টি বিধানসভা ভোটেই বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই। এই রাজ্যগুলিতে ভাল ফল করলে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটেও বিজেপিকে কোণঠাসা করা যাবে।

গত কয়েক মাসে একমাত্র গোয়ায় উপনির্বাচনে জিতেছেন মনোহর পর্রীকর। বাকি সব ভোটেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বিজেপিকে। দিল্লির বাওয়ানায় আপ-এর কাছে হেরেছে বিজেপি। আর শুধু উপ-নির্বাচনও নয়, মহারাষ্ট্রের নান্দেড়-বাঘালা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোটেও বিজেপি শোচনীয় ভাবে হেরেছে। ছাত্র সংসদের নির্বাচনেও একই হাল। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই। যোগী রাজ্যের ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েও হেরেছে এবিভিপি। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অভাবনীয় জয়ের পরে মাত্র ছয় মাস কেটেছে। তার মধ্যেই ইলাহাবাদের হার গেরুয়া শিবিরের পক্ষে চরম অস্বস্তির। জোর ধাক্কা লেগেছে পঞ্জাবের গুরদাসপুর ও কেরলের ভেঙ্গারা আসনেও। গুরদাসপুরে কংগ্রেসের কাছে বিজেপি গোহারা হেরেছে। কেরলে রাজ্য জুড়ে তাদের পদযাত্রার মধ্যেই ভোট কমে তৃতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে বিজেপি।

কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, রাহুলের সামনে একমাত্র চ্যালেঞ্জ, রাজ্যে রাজ্যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলানো এবং প্রবীণ-নবীন নেতাদের একজোট করা।

রাহুল যে তা করতে চান, প্রয়োজনে তিনি নিজের ভুল শোধরাতেও রাজি, তা-ও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। হিমাচলে প্রথমে প্রদেশ সভাপতি সুখবিন্দর সিংহ সুখুকে প্রচার কমিটির প্রধান করেছিলেন। তার পর মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

বিজেপি নেতারা বলছেন, এই সব উপনির্বাচন ও ছাত্র সংসদের ভোটের সঙ্গে জাতীয় স্তরের হাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, একের পর এক ভোটে বিজেপির হার থেকেই স্পষ্ট, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের মোদী-ঝড় এখন ইতিহাস। অমিত শাহ ছুঁলেই সোনা— এই দাবি আর বিজেপি নেতারাও করছেন না। নোট বাতিল, জিএসটি নিয়ে আমজনতার ক্ষোভ ছিলই।

এ বার নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠেছে অমিত-পুত্র জয় শাহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।

Rahul Gandhi Comgress BJP রাহল গাঁধী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy