সামান্যতম চাপের মুখে পড়লেও তিনি নাকি আত্মসমর্পণ করেন। তা সে সংসদের বিতর্কহোক কিংবা জটিল দিনে আন্তর্জাতিক মহলের কোনও চাপ। দিনে দিনে বিষয়টি নাকি তাঁর অভ্যাসেপরিণত হয়েছে। বিহারের নালন্দায় একটি আলোচনা সভায় যোগদিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর সম্পর্কে এমনই মন্তব্যকরলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
সভায় আলোচনা হচ্ছিল জাতিগত জনগণনা প্রসঙ্গে। সেখানে রাহুল বলেন, ‘‘লোকসভায় মোদীজির উপস্থিতিতেই আমি বলেছিলাম, জাতিগত জনগণনা করতে হবে।’’ এরপরই তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘আর আপনারা তো ওঁর (প্রধানমন্ত্রী) আত্মসমর্পণের অভ্যাসের কথা জানেনই!’’ দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে জাতিগত জনগণনা প্রয়োজন,এমনই মনে করেন রাহুল। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘আমি চাই আমাদের দেশের সংবিধান যে কোনও মূল্যে রক্ষিত হোক। সেই কারণে জাতিগত গণনাটা খুবই জরুরি। এতেইদেশের উন্নতি সম্ভব হবে।’’ এর পাশাপাশি সংরক্ষণের প্রসঙ্গও টানেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আমরা যেখানেই সরকার গঠনকরি না কেন, আমরা ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়টি বাতিল করব। আর সেটা শুরু হবে এইবিহার থেকেই।’’
এরপরই জাতিগত গণনার প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আবারও বেঁধেন রাহুল। তিনি জানান, বিজেপি-চালিত কেন্দ্রীয় সরকার কোনও দিনই চাইবে না যে, এ দেশে সুস্থ ভাবে কোনও জাতিগত গণনা হোক। সেটা হলে গেরুয়া শিবিরের রাজনীতি করার মতো আর কিছু থাকবে না— এমনটাই মনে করেন রাহুল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)