রাহুল গাঁধী এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফাইল চিত্র।
ফের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাহুল গাঁধী। সোমবার যুব কংগ্রেস পদাধিকারিদের সভায় সভায় রাহুল বলেন, ‘‘কংগ্রেসে থাকলে জ্যোতিরাদিত্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন। কিন্তু বিজেপি-তে গিয়ে তাঁর স্থান হয়েছে পিছনের সারিতে।’’
রাহুলের দাবি, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তা অনেকাংশে সফল ভাবে রূপায়ণ করাও সম্ভব হয়েছিল। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কথায়, ‘‘আমি ওঁকে (জ্যোতিরাদিত্য) বলেছিলাম, আপনি এক দিন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’’
বিজেপি-তে গিয়ে জ্যোতিরাদিত্যের ‘পিছনের সারির লোক’ (ব্যাক বেঞ্চার) হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে রাহুল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে জ্যোতিরাদিত্যকে কংগ্রেসে ফিরতেই হবে।’’
২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয়ের পিছনে জ্যোতিরাদিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা চললেও গ্বালিয়র রাজপরিবারের উত্তরাধিকারীকে কোনও পদেই বসায়নি কংগ্রেস। বরং মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ মিলে কংগ্রেসের অন্দরে তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে গুণা কেন্দ্রে হেরে যান জ্যোতিরাদিত্য। এরপর রাজ্যসভা ভোটের কংগ্রেস তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি। গত বছর মার্চ মাসে জ্যোতিরাদিত্য তাঁর অনুগামী ২২ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। ফলে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটে। বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করলেও কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব দেয়নি। সাংগঠনিক কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদও দেওয়া হয়নি জ্যোতিরাদিত্যকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy