বিহার বিধানসভা ভোটের রণনীতি, আগামী বছর বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং গোটা দেশে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে কী ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়ানো যায়, তা নিয়ে বুধবার পটনায় কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। তার আগে আজ রাহুল গান্ধী ‘ভোট চুরি’-র সঙ্গে ‘বেকারত্ব’-কে জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন। তাঁর দাবি, তরুণ প্রজন্ম আর ‘চাকরি চুরি’ ও ‘ভোট চুরি’ সহ্য করবে না।
গত সপ্তাহে কর্নাটকের ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, দেশের তরুণদের এর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। আজ রাহুল গান্ধী এক্স-এএকটি ভিডিয়ো তুলে ধরেছেন, যার এক দিকে পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের উপরে লাঠি চালাচ্ছে। অন্য দিকেপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ময়ূরদের খাওয়াচ্ছেন, যোগাসন করছেন। ভোটচুরি নিয়ে কী ভাবে কংগ্রেস বিহার তথা গোটা দেশে প্রচারে যাবে, তারইঙ্গিত দিয়ে রাহুল বলেছেন, দেশের তরুণদের সবথেকে বড় সমস্যা বেকারত্ব। ভোট চুরির সঙ্গে তার সরাসরি যোগ। কোনও সরকার জনতার ভোটে জিতে এলে তারা বেকারত্বের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করত। কিন্তু বিজেপি সততার সঙ্গে ভোটে জেতে না। ভোট চুরি করে, সাংবিধানিক সংস্থাকে পকেটে পুরে ভোটে জেতে। সেই জন্যই বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। চাকরির সুযোগ কমছে। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। কিন্তু মোদী শুধু নিজের প্রচার, সেলিব্রিটিদের দিয়ে নিজের গুণগান করানো ও শিল্পপতিদের মুনাফা পাওয়াতে ব্যস্ত।
আজ এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পওয়ার বলেছেন, রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের দিকে প্রশ্ন তুললেই যে ভাবে বিজেপি জবাব দিতে মাঠে নেমে পড়ছে, তাতে কমিশনের প্রতি অনাস্থা আরও বাড়ছে। কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোট চুরিকে রুটিরুজির সমস্যার সঙ্গে জুড়ে কংগ্রেস বিহারে ‘ঘর ঘর অধিকার’ প্রচার করবে। বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেসের নেতারা বিহারের প্রতিটি জেলায় এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। অতি অনগ্রসরদের অধিকারকেও ভোট চুরির সঙ্গে জুড়ে রাহুল কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির বৈঠকের পরে বুধবার পটনা থেকে ‘অতি পিছড়া ন্যায় সঙ্কল্প’ অভিযানও শুরু করবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)