ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের কাজ শুরু করতে নরেন্দ্র মোদী সরকার দেরি করেছে বলে আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সামনেই অভিযোগ তুললেন রাহুল গান্ধী। বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে রাহুল ও অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদরা বলেন, দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে বার করে আনতে ভারতের আরও দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।
সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ব্যাখ্যা দেন, জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু পড়ুয়ারা পড়াশোনায় বাধা পড়া, দেশে ফিরে এলে অনলাইনে ক্লাস করা যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। রাহুল বলেন, “প্রথম দিকে যে সব পরামর্শ বা ‘অ্যাডভাইজ়রি’ জারি করা হয়েছে, তা স্পষ্ট ছিল না। বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল। তার ফলেই সিংহ ভাগ ছাত্রছাত্রী ওখানে রয়ে গিয়েছেন।”
আজ বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ছ’টি রাজনৈতিক দলের ন’জন সাংসদ হাজির ছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কী ভাবে পড়ুয়াদের উদ্ধার করা হচ্ছে, জয়শঙ্কর তার বিশদ বর্ণনা দেন। জয়শঙ্কর পরে জানান, সকলেই এক সুরে ভারতীয়দের ইউক্রেন থেকে ফেরানোর প্রয়াসে সমর্থন জানিয়েছেন। আলোচনা ও কূটনীতিই একমাত্র পথ, এ বিষয়ে সকলেই একমত।
সূত্রের দাবি, কংগ্রেসের রাহুল, শশী তারুর, আনন্দ শর্মারা বৈঠকে বলেন, ভারত সরকারের উচিত নিজের ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করা উচিত ছিল। যাতে হিংসা আটকানো যায়। রাহুল গান্ধী বৈঠকে বলেন, এখন অগ্রাধিকার হল ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরানো। তিনি ইউক্রেন ও প্রতিবেশী দেশের ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদেরও প্রশংসা করেন।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, ভারত যে রাশিয়া বা ইউক্রেনের মধ্যে কোনও পক্ষ না নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে উপদেষ্টা কমিটির সকলেই সমর্থন জানিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, দলের সাংসদরা জানিয়েছেন, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া উচিত নয়। ভারতের জন্য জরুরি হল নিরপেক্ষ থাকা, যাতে ভারতীয়েরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারেন। কংগ্রেসের শশী তারুর বলেন, “জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমরা সবাই আগে ভারতীয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy