বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে এখন হইচই তুঙ্গে। রোজই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নেতাদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এর ফলে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের প্রচারের আসল বিষয় থেকে নজর সরে যেতে পারে।
‘‘এখন আমাদের নীতীশ কুমারের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে বিহারে জঙ্গলরাজ ফিরে আসা নিয়ে প্রচারে নামার কথা। বিহারের মানুষের রুটিরুজির সমস্যা নিয়ে আক্রমণে যাওয়ার কথা। আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন ক্ষমতায় এলে কী করবে, সেই সব গ্যারান্টি ঘোষণার কথা। অথচ ভোটার তালিকা সংশোধনের ফলে যাতে আমাদের সমর্থকদের নাম বাদ না চলে যায়, সেই বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে,’’— হতাশ গলায় বলছেন বিহারের বিজেপি বিরোধী জোটের এক শীর্ষনেতা।
বুধবার শ্রমিক সংগঠনগুলির ধর্মঘটের দিনে রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদব পটনায় নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে ‘চাক্কা জ্যাম’-এ অংশ নেবেন। ভোটার তালিকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়ার সঙ্গে নীতীশ-জমানায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী খুন নিয়েও তাঁরা সরব হবেন। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, যদি ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে আগামী দু’মাস কেটে যায়, তা হলে ভোটের প্রচারের সময় অনেকটাই নষ্ট হবে। কিন্তু ভোটার তালিকা সংশোধন আদৌ ভোটের বিষয় হবে কি না, সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আখেরে বিজেপি তথা এনডিএ জোটের সুবিধা হয়ে যাবে বলে আরজেডি-কংগ্রেস-বামশিবিরে আশঙ্কা।
এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া মঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের সঙ্গে নীতীশ-সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারকেও একই সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি মহিলা ও দলিত, অনগ্রসর, কৃষকদের জন্য যে সব প্রতিশ্রুতির ঘোষণা হওয়ার কথা, তা যাতে ভোটার তালিকা নিয়ে হইচইয়ে ধামাচাপা পড়ে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক ইন্ডিয়া জোট। আজ রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘বিহার এখন অপরাধের রাজধানী, বিজেপি ও নীতীশ সরকারের এটাই অবদান।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)