Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

লন্ডনেও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন রাহুল গাঁধী

কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, নিজের দলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে তুলে ধরতে চান রাহুল। মোদী সরকারের নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেওয়া এবং বিরোধী মতকে উপেক্ষার রাজনীতি, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, গোষ্ঠী সংঘর্ষের বাড়বাড়ন্ত— সব নিয়েই বলবেন তিনি।

রাহুল গাঁধী

রাহুল গাঁধী

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২১
Share: Save:

গন্তব্য এ বার লন্ডন।

এর আগে আমেরিকায় বক্তৃতা দিয়ে মোদী সরকারের উপরে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২৪ তারিখে লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে বক্তৃতা দেবেন তিনি। তার আগে হায়দরাবাদে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রদের সামনে বলার কথা রয়েছে কংগ্রেস সভাপতির।

২০১৯-এর ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে-বাইরে সক্রিয় হচ্ছেন রাহুল। দেশের মধ্যে বিজেপি-বিরোধী শক্তিকে একজোট করার পাশাপাশি প্রবাসী এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে কুর্সিতে বসার পরে অনাবাসী ভারতীয়দের কাছে পৌঁছতে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁর উদ্দেশ্য যতটা না ছিল বিনিয়োগ টানা, তার থেকেও বেশি ছিল রাজনৈতিক।

কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, নিজের দলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে তুলে ধরতে চান রাহুল। মোদী সরকারের নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেওয়া এবং বিরোধী মতকে উপেক্ষার রাজনীতি, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, গোষ্ঠী সংঘর্ষের বাড়বাড়ন্ত— সব নিয়েই বলবেন তিনি। প্রসঙ্গত, যে লন্ডনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন রাহুল, সেখানেই গত এপ্রিলে কাঠুয়া-উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল মোদীকে। পরের ধাক্কাটি আসে সিঙ্গাপুরে। গত ১ জুন সেখানকার নানইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদী খোলামেলা আলোচনা করবেন বলে আগাম প্রচার করা হয়েছিল। বাস্তবে দেখা যায়, প্রশ্নগুলি সাজানো। জবাবে মোদী হিন্দিতে যা বলছেন, ইংরেজি তর্জমায় অনুবাদক বলছেন ঢের বেশি। এই সাজানো আলাপচারিতা নিয়ে ভাল রকম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মোদী ও বিজেপিকে।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট নিয়েও বিভ্রান্ত করছে বিজেপি: মমতা

বিরোধীদের অভিযোগ, গত চার বছরে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে প্রবাসীদের স্বপ্ন দেখিয়ে গিয়েছেন মোদী। ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা শীঘ্রই দেশের বিকাশের সুফল ভোগ করতে পারবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে, সে সব ছিল ফাঁপা বুলি। কানাডায় প্রধানমন্ত্রীর সফরে যে বিরাট প্রবাসী-সমাবেশ হয়েছিল, সেখানে আর্থিক তছরুপ হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে বিজেপির অন্দরে। এমন ক্ষোভও দানা বাঁধছে যে, ভারতীয় দূতাবাসগুলিতে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন মোদীর রাজ্যের মানুষেরাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE