মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি-আরএসএস সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কেও ‘বিভ্রান্তিমূলক’ প্রচার করছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে রবিবার তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি-আরএসএসের প্রতিটি কাজেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ধ্বংসাত্মক মনোভাব দেখা যাচ্ছে।’’
অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ প়ড়ায় বিরোধীদের তোপের মুখে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে ঢাল করছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, নাগরিকপ়ঞ্জি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। কিন্তু মমতা এ দিন টুইটে পাল্টা বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট কখনওই ভারতের নাগরিকদের নাম নাগরিকপঞ্জি থেকে মুছে দিতে বলেনি। যে ভারতীয় নাগরিকেরা ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাঙালি, অসমিয়া, রাজস্থানি, মারওয়াড়ি, বিহারি, গোর্খা, পাঞ্জাবি এবং উত্তরপ্রদেশ ও দক্ষিণ ভারতের চার রাজ্যের মানুষ রয়েছেন। সেনা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবার, নির্বাচিত প্রতিনিধি, বিশিষ্ট জন এবং দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষ— সকলেই রয়েছেন ওই বাদ পড়াদের তালিকায়।’’
এই প্রেক্ষিতে মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন অসমে পাঠানো হয়েছে? বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকপঞ্জি তৈরির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। ভুল তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীই সুপ্রিম কোর্টকে অবমাননা করছেন! আর উনি বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলেও সকলেই বুঝেছেন, শরণার্থীরা ভারতে থাকবেন, অনুপ্রবেশকারীরা বিদায় হবেন। ২০০৫ সালে মমতাই তো এই দাবি তুলেছিলেন।’’
এরই মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় চিঠি পাঠিয়ে কোচবিহারের পুরনো ভোটার তালিকার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে বহু মানুষ জীবিকার স্বার্থে অসমে চলে গিয়েছিলেন। কোচবিহারে ১৯৫১ থেকে ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকা পুড়ে গিয়েছিল জেলা নির্বাচন দফতরে আগুন লেগে। ওই পুরনো তালিকার প্রতিলিপি বার করতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নরেনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy