রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যে ওবিসি ভোটকেই পাখির চোখ করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। আজ মধ্যপ্রদেশে ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল বলেছেন, বেকারত্বের মোকাবিলার প্রথম পদক্ষেপ হল জাতগণনা। কারণ জাতগণনা হলেই বোঝা যাবে সমাজের কোন অংশের কতখানি আর্থিক উন্নতি প্রয়োজন। কারা চাকরি পাচ্ছেন, কারা পাচ্ছেন না।
কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা জাতগণনার দাবি তুললেও মোদী সরকার তাতে রাজি হয়নি। উল্টে প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচারে গিয়ে বলেছেন, তিনি একটিমাত্র জাতেই বিশ্বাস করেন, তা হল গরিব জাত। আজ রাহুল তার পাল্টা জবাবে বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী এক দিকে বলেন উনি ওবিসি। অন্য দিকে জাতগণনার দাবি উঠলে বলেন, দেশে কোনও জাতপাত নেই। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেই জাতগণনা করা হবে। কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় এলেও জাতগণনা হবে।’’
মধ্যপ্রদেশে বর্তমান বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ওবিসি নেতা। রাহুল আজ তাঁকে নিশানা করে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘শিবরাজের সরকার ওবিসি-র সরকার হলে, অনগ্রসরদের সরকার হলে, রাজ্যের ৫৩ জন শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে মাত্র এক জন ওবিসি কেন?” বিজেপি কেন ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে ক্ষমতায় এলে ওবিসি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলে রাহুল
কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, একমাত্র তেলঙ্গানা, যেখানে বিজেপি ২ শতাংশ ভোট পাবে, সেখানে মোদী ওবিসি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের ওবিসি নেতা শিবরাজকে বিজেপির মুখ করা হয়নি।
মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে এ বার মধ্যপ্রদেশের ভোটে নামিয়েছে বিজেপি। তাঁর ছেলের ভোটের জন্য টাকা জোগাড়ের ভিডিয়ো ফাঁস নিয়ে প্রশ্ন তুলেও রাহুল বলেন, ‘‘মোদীজি এ বিষয়ে কিছু বলেন না। সিবিআই, আয়কর দফতরকেও পাঠান না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy