Advertisement
E-Paper

মমতার সঙ্গে বোঝাপড়া চান রাহুল

রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী রাহুলের সঙ্গে দেখা করলে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, রাজ্যস্তরে তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলন করতে কোনও দিন দিল্লি বাধা দেয়নি | কিন্তু জাতীয় স্তরে মোদী-বিরোধী লড়াইয়ে মমতা খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।

জয়ন্ত ঘোষাল

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০৯
রাহুল গাঁধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাহুল গাঁধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাস নিয়ে যতই বিতর্ক উঠুক, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী চাইছেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গেই কংগ্রেসের বোঝাপড়া হোক।

রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী রাহুলের সঙ্গে দেখা করলে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, রাজ্যস্তরে তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলন করতে কোনও দিন দিল্লি বাধা দেয়নি | কিন্তু জাতীয় স্তরে মোদী-বিরোধী লড়াইয়ে মমতা খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কারণ মমতা ইউপিএ-র পাল্টা একটি ফ্রন্ট করলে বিজেপিরই লাভ হবে। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ এ দিন বলেন, ‘‘মমতা এক জন জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁর দলের নীতি ধর্মনিরপেক্ষ। আমরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’

অধীর এবং আব্দুল মান্নান দু’জনেই চান, লোকসভা ভোটে সিপিএমের সঙ্গেই আসন সমঝোতা হোক। তাতে কংগ্রেস অনেক বেশি আসন পাবে। দিল্লির পাল্টা প্রশ্ন, বেশি আসন নিয়ে লাভ কী? জিততে হবে তো! মমতার সঙ্গে থাকলে জেতার সম্ভাবনা বেশি। মান্নানকেও শনিবার দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বোঝাতে চাইছেন, তাঁরা সমদূরত্ব নীতি নিয়ে এগোবেন! সম্প্রতি সিপিএম পার্টি কংগ্রেসে সীতারাম ইয়েচুরি কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়ার যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তবু এখনও তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে তা কংগ্রেসকে জানায়নি। তাই রাহুলও এখনই মমতাকে সঙ্গে নেওয়ার সম্ভাবনা বন্ধ করে দিতে চান না। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, আহমেদ পটেল সীতারাম ইয়েচুরিকে যেমন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিতে আসায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঠিক সে ভাবেই মমতাকেও তাঁর জন্মদিনে ফোন করতে ভুলবেন না।

Mamata Banerjee Rahul Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy