রেল হাসপাতালগুলিতে এ বার বাইরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসাতে চাইছে রেল। উদ্দেশ্য দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষকে আরও ভাল চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ করে দেওয়া।
রেল সূত্রের খবর, রেলের হাতে অনেক হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে অনেক জায়গা রয়েছে। আছে জল, বিদ্যুৎ। প্রয়োজনে সেখানে বাইরের চিকিৎসকদের জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে। তবে তাঁরা বসতে পারবেন হাসপাতালের বহির্বিভাগ শেষ হওয়ার পরে। রেল কতৃর্পক্ষ এই সুবিধাগুলি দেওয়ার জন্য একটি ‘লাইসেন্স ফি’ অবশ্য ধার্য করবেন।
রেলকর্তারা জানিয়েছেন, বাইরের লোকজনের সঙ্গে রেলকর্মীরাও সামান্য খরচে ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন। পিপিপি মডেলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া বেসরকারি সংস্থাদের সঙ্গেও হাত মেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।
সম্প্রতি একটি আলোচনা চক্রে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু তাঁর এই ভাবনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনে বাইরের লোকদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।’’
রেল কতৃর্পক্ষ এমন পরিকল্পনার কথা বললেও বাস্তব পরিস্থিতি হল, রেলের হাসপাতালগুলিতে রেলকর্মীদেরই জায়গা মেলে না। ভিড় সামলাতে হিমসিম খান চিকিৎসকরা। সেখানে যদি আবার বাইরের লোককে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে।
সরকারি হাসপাতালে বাইরের চিকিৎসক বসলে তিনি ‘ফি’ নেবেন। সে ক্ষেত্রে রেলকর্মীরা ওই চিকিৎসককে দেখাতে চাইলে টাকার অঙ্ক কী হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। রেলকর্তারা বলছেন, রেলকর্মীদের জন্য কিছুটা হলেও ছাড় থাকার কথা। তবে সবটাই এখন ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy