রেললাইনে দেহের নিম্নাংশ কাটা অবস্থায় উদ্ধার হন নরেশ।
রেললাইনের উপর শুয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। দেহের অর্ধেক অংশ ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে কেটে গিয়েছে। কোমরের উপর থেকে বাকি অংশ তখনও অক্ষত। নিশ্চুপ, শান্ত। চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। মিনিট দশেক পর ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে গেল তাঁর। এক রেলকর্মীর আত্মহত্যার এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় শিউরে উঠেছেন অনেকে।
রেলকর্মী নিজেই আত্মহত্যার ভিডিয়োটি করেন। ৩০ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োতে আত্মহত্যার কারণও জানিয়েছেন ওই কর্মী। শ্যালকের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল রেলকর্মী রমেশ যাদবের। তাই তাঁর ঊর্ধ্বতনের কাছে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আধিকারিক রমেশের ছুটি মঞ্জুর করতে চাননি বলে দাবি পরিবারের। বিষয়টি নিয়ে খুব হতাশ ছিলেন রমেশ।
এর পরই সোমবার কানপুরের পনকী স্টেশনে পৌঁছন তিনি। রেললাইনের উপর শুয়ে পড়েন। মোবাইলে ভিডিয়ো চালু করেন। তত ক্ষণে একটি ট্রেন তাঁর দেহ মাঝখান দিয়ে কেটে চলে যায়। যে রকম অবস্থাতে শুয়ে ছিলেন ঠিক সেই অবস্থাতেই ছিলেন রমেশ। শুধু কোমরের নীচ থেকে কেটে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তখনও তাঁর ধড়ে প্রাণ ছিল। ভিডিয়োতে মৃত্যুর কারণও বলে যান। এর পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা দেখে স্টেশনে খবর দেন। তত ক্ষণে রমেশের মৃত্যু হয়েছিল। এর পর জিআরপি এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy