দেবতার দরবারে। অম্বুবাচী মেলার আগে কামাখ্যায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। রবিবার। — পিটিআই
অসমে রেলপথ বিস্তার ও স্টেশনের আশপাশে পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় সমস্যা জবরদখল। দখলকারীদের হঠাতে তেমন সাহায্য মিলছে না প্রশাসনের তরফে। মামলার পাহাড় জমলেও বেরচ্ছে না সমাধানসূত্র। বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের শরণাপন্ন হল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।
রেলসূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্বে রেলের সম্প্রসারণেরউপরে জোর দিয়েছেন। কিন্তু প্রায় সব বড় শহর এবং জনবসতি ঘেঁষা রেল লাইনের আশপাশে জবরদখল হয়েছে। রেলের নিজের জমিতেই রেলকর্মীরা কাজ করতে পারছেন না। তাই লাইনের আশপাশে সাফাই অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গড়ে উঠেছে বেআইনি বসতি। সেখানে চলছে বিভিন্ন বেআইনি কারবার ও নেশার ঠেক।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা জানান, ১৬৪.৫০ হেক্টর রেলের জমিতে জবরদখল রয়েছে। এ নিয়ে ২০ হাজার ৮৩৭টি মামলা ঝুলছে। সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে আগিয়াঠোরিকে আন্তর্জাতিক স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা, আমিনগাঁওয়ে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন পরিকাঠামো গড়া, নিউ গুয়াহাটিতে নতুন পিট লাইন ও সিক লাইন তৈরির পাশাপাশি শিলচর, হোজাই, ডিফু, টংলা এবং চাপরমুখ স্টেশন চত্বরে আধুনিকীকরণের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রণববাবু জানান, গুয়াহাটির দিকে চাপ কমাতে কামাখ্যা স্টেশনে ঢোকার বিকল্প প্রবেশপথ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু জমি জবরদখল হয়ে যাওয়ায় তাও সম্ভব হয়নি। একই কারণে কামাখ্যা স্টেশন থেকে পাণ্ডু বন্দর পর্যন্ত লাইন পাতার কাজও ঝুলে রয়েছে। লাইনের আশপাশ থেকে নেশার ঠেক, সমাজবিরোধীদের আখড়া হঠানোর জন্যেও রেলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। লাইনের পাশ থেকে পাথর ছোঁড়া, দাঁড়িয়ে থাকা কামরা থেকে জিনিস লুঠের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, ‘‘উপায় না দেখে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সব জানাই। মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। গত ১৫ দিনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে দফায় দফায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বৈঠক হয়েছে। আশা করি, রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় সমস্যা কাটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy