অন্ধকার কেটে যাওয়ার আশ্বাসটা পেয়েছিলেন দুপুরেই। আর সন্ধ্যাতেই পেলেন দীর্ঘমেয়াদি ভিসা।
শনিবার দুপুরে বৈঠক করতে গিয়ে নিজের লেখা বই ‘সেই সব অন্ধকার’-এর হিন্দি অনুবাদ উপহার দেওয়ার সময়ই তসলিমা নাসরিনকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছিলেন, “আপনার অন্ধকারের দিন শেষ হয়ে যাবে।” সেই আশ্বাসের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকাকে এ দেশে দীর্ঘমেয়াদে থাকার জন্য ‘রেসিডেন্সিয়াল ভিসা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এ দিন দুপুরে ভিসা-বিতর্ক মেটাতে চেয়ে রাজনাথের সঙ্গে দেখা করেন তসলিমা। সঙ্গে নিয়ে যান নিজের লেখা ‘লজ্জা’ এবং আরও তিনটি বই। তারই একটি ‘সেই সব অন্ধকার’-এর হিন্দি অনুবাদ ‘ও আন্ধেরে দিন’। বইটি রাজনাথের হাতে লেখিকা তুলে দেওয়া মাত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, “আপনার অন্ধকারের দিন শেষ হয়ে যাবে।” বৈঠক শেষে নিজেই টুইটারে সে কথা জানান লেখিকা। রাজনাথের সামগ্রিক মনোভাবে ঘনিষ্ঠ মহলে স্বস্তিও প্রকাশ করেন তিনি।
২০০৪ থেকেই ভারতে থাকার জন্য ‘লং টার্ম এন্ট্রি ভিসা’ বা ‘এক্স ভিসা’ দেওয়া হয়েছে তসলিমাকে। মেয়াদ শেষে সে ভিসার পুনর্নবীকরণও হয়েছে। তাঁর বর্তমান ভিসার মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে। কিন্তু দিন দু’য়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিস’কে ওই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। পরিবর্তে মাত্র দু’মাসের ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। তার পরেই রাজনাথের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বৈঠকে তসলিমাকে আশ্বস্ত করে রাজনাথ জানিয়েছেন, চিন্তার কারণ নেই। কিছু নিয়ম সংক্রান্ত কারণেই তাঁকে দু’মাসের ভিসা দেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে লং টার্ম ভিসা দেওয়া হবে। লেখিকা রাজনাথকে জানান, গত দশ বছর ধরে ভারতে থাকার জন্য তিনি এক বছরের পারমিট পান। তা যেন বাড়িয়ে এক সঙ্গে দশ বছরের জন্য করে দেওয়া যায়। লেখিকার কথায়, “আমার ওই আবেদন শুনে রাজনাথ ফের হাসতে হাসতে বলেন, আপনার ভিসায় ভারতে থাকার মেয়াদ ৫০ বছরের করে দেওয়া হবে। নিশ্চিন্তে থাকুন।” পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, তসলিমার বিষয়ে কিছু তথ্য খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হলেই তাঁর দীর্ঘকালীন ভিসা আবেদন মঞ্জুর করার প্রশ্নে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy