Advertisement
E-Paper

ক্ষুব্ধ হলেও ইস্তফার কথা ভাবছ‌েনই না, জল্পনা উড়িয়ে জানালেন মারিয়া

ইস্তফা দিচ্ছেন না রাকেশ মারিয়া। মঙ্গলবার ডিজি (হোমগার্ড) হিসেবে তাঁর ‘পদোন্নতি’র পর থেকেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়, তবে কি এ বার নয়া ডিজি ইস্তফা দেবেন? বুধবার সেই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ মারিয়াই। এ দিন সকালে মুম্বইয়ের প্রাক্তন এই পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘ইস্তফার কথা ভাবছিই না! বাজারে যে সমস্ত খবর উড়ে বেড়াচ্ছে তা সত্যি নয়।’’

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:৩৪
রাকেশ মারিয়া। ছবি: পিটিআই।

রাকেশ মারিয়া। ছবি: পিটিআই।

ইস্তফা দিচ্ছেন না রাকেশ মারিয়া। মঙ্গলবার ডিজি (হোমগার্ড) হিসেবে তাঁর ‘পদোন্নতি’র পর থেকেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়, তবে কি এ বার নয়া ডিজি ইস্তফা দেবেন? বুধবার সেই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ মারিয়াই। এ দিন সকালে মুম্বইয়ের প্রাক্তন এই পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘ইস্তফার কথা ভাবছিই না! বাজারে যে সমস্ত খবর উড়ে বেড়াচ্ছে তা সত্যি নয়।’’

যে ভাবে তড়িঘড়ি কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে ডিজি (হোমগার্ড)-র দায়িত্ব দেওয়া হয়, নীরব থাকলেও তাতে যে তিনি অসম্মানিত বোধ করেছেন সেটা রাকেশের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছিল। এমনকী, শিনা বরা হত্যা মামলার প্রায় মাঝপথে তাঁকে এ ভাবে সরিয়ে দেওয়ায় তিনি ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েন। আর তার পর থেকেই বাজারে জল্পনা ছড়ায় নতুন পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। এমনকী, মারিয়াকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলে তার পেছনের সম্ভাব্য কারণ নিয়ে চর্চা শুরু হয় প্রায় গোটা দেশ জুড়ে। পরে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দেয়, শিনা হত্যা মামলা রাকেশের নেতৃত্বেই হবে। তাতে যদিও জল্পনা থামেনি।

তবে, পুলিশ মহলে মারিয়ার সুনাম আছে। এমনকী, তিনি যে ভরসা করার মতো অফিসার সে কথাও অনেকে প্রকাশ্যে বলে থাকেন। এ দিন রাকেশের ইস্তফার খবর শুনে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘মারিয়া খুব ভাল অফিসার। ইস্তফা দিলে সেটা বাহিনীর পক্ষে খুব খারাপ হবে। আশা করব এমনটা যাতে না হয়!’’

জাপান যাওয়ার আগে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার হিসেবে আহমেদ জাভেদের নামে সিলমোহর দেন। পাশাপাশি, মারিয়াকে বদলি করেন ডিজি (হোমগার্ড) পদে। কিন্তু, তাঁর এই ‘পদোন্নতি’র ফলে শিনা হত্যা মামলা কোন পথে এগোবে তাই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। কেন সরিয়ে দেওয়া হল মারিয়াকে, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়।তখনই উঠে আসতে থাকে নানা তথ্য।

এই মামলায় রাকেশের ‘অতি উত্সাহে’ মুম্বই পুলিশের একটা অংশ একটু বিরূপ হয়েছিলেন তাঁর উপর। তাঁদের মতে, শিনা হত্যা মামলায় রাকেশ নিজে খার থানায় গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন। জেরা করেছেন পিটার মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণীকে। অন্য কোনও মামলায় খোদ পুলিশ কমিশনার এতটা সময় দিয়েছেন বলে তাঁদের জানা নেই বলে ওই অংশের দাবি। কিন্তু, রাকেশ ঘনিষ্ঠদের পাল্টা দাবি, ওই অফিসারেরা মারিয়ার ইতিহাস জানেন না। এর আগে একের পর এক মামলায় মারিয়া যে ভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন, শিনা হত্যা মামলাতে তার ব্যতিক্রম হয়নি। এমনকী, পিটার-ইন্দ্রাণীকে ব্যক্তিগত ভাবে রাকেশ চিনতেন না বলেও ওই অংশের দাবি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা খার থানায় রাকেশ জেরার কাজে অংশ নিয়েছিলেন তার কারণ হিসেবে ওই অংশের যুক্তি, ইন্দ্রাণী ইংরেজি ভাষায় এতটাই দড় যে, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অন্য পুলিশ অফিসাররা হিমসিম খাচ্ছেন। তাই রাকেশই সেই ভূমিকা নিয়েছেন। যদিও ভিন্ন মত বলছে, মুম্বই পুলিশে ভাল ইংরেজি জানা অফিসার আছেন।

সব কিছুর পর শিনা হত্যা মামলাকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন রাকেশ, যে ভাবে সংবাদ মাধ্যমের সমস্ত আলো এই মামলার উপর নিয়ে গিয়ে ফেলেছেন, তাতে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষে এই মামলা থেকে তাঁকে সরানোটা বেশ চাপের। তার আভাস মঙ্গলবার টের পেয়েছে সরকার। পাশাপাশি, তিনি যে কোনও কিছুতেই ‘বাড়াবাড়ি’ পছন্দ করেন না মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস সেই বার্তাও দিয়েছেন সুনিপুন ভাবে।

Rakesh Maria mumbai police sheena murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy