প্রায় ৪০০ হিন্দু ও শিখের চিতাভস্ম নিয়ে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে এলেন পাকিস্তানি নাগরিক রামনাথ মিশ্র! চলতি মাসের শেষে তাঁরই উদ্যোগে হরিদ্বারের সতীঘাটে প্রায় ন’বছর পর চিতাভস্ম ভাসানো হবে।
আরও পড়ুন:
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনাথ মিশ্র পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। বংশানুক্রমে গত প্রায় ১৫০০ বছর ধরে করাচির পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির ও শ্মশানে পৌরোহিত্য করেন রামনাথেরা। রামনাথ নিজেও তার ব্যতিক্রম নন। আপাতত পরিবারের সঙ্গে মহাকুম্ভ মেলাপ্রাঙ্গণের সেক্টর ২৪-এ থাকছেন তিনি। সেখানে স্বামী অধ্যক্ষজানন্দের কাছে ন’বছরের ছেলের উপনয়নও করিয়েছেন প্রৌঢ় এই পুরোহিত। রামনাথই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে প্রায় ৪০০টি চিতাভস্মের কলসি ভারতে নিয়ে এসেছেন তিনি। এর সব ক’টিই হিন্দু ও শিখদের। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণি সঙ্গমের পবিত্র জল নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে নিগম ঘাটে ভস্মের কলসপুজোর পর ২২ ফেব্রুয়ারি শোভাযাত্রা করে ওই চিতাভস্ম হরিদ্বারে নিয়ে যাওয়া হবে। হরিদ্বারের পবিত্র সতীঘাটে ভাসানো হবে চিতাভস্ম।
আরও পড়ুন:
রামনাথের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তাঁর স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে এবং ভাগ্নে। তাঁরাই জানাচ্ছেন, করাচির পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির ১৫০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। সেই সময় থেকেই রামনাথের পূর্বপুরুষেরা বংশানুক্রমিক ভাবে মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব সামলে আসছেন। অতীতে এক সময় এই মন্দির দখল হয়ে গিয়েছিল। পরে অনেক চেষ্টার পর তা ফিরে পান রামনাথেরা। কিন্তু পৌরোহিত্য ছাড়েননি। কয়েক বছর আগে মন্দিরের পাশাপাশি শ্মশানটিরও সংস্কার করানো হয়েছে। মৃতদের চিতাভস্ম সংগ্রহ করে রাখার জন্য একটি ঘরও বানানো হয়েছে। সেখানেই প্রায় ন’বছর চিতাভস্মের কলসগুলি রেখেছিলেন রামনাথ! তাই ভারতে আসার ভিসা মিলতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, এত দিনে সেগুলি বিসর্জন দেবেন হরিদ্বারের গঙ্গায়।