—ফাইল চিত্র।
বিচার চাইতে এসেছিলেন ধর্ষিতা। শেষে বিচারকের হাতেও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হল তাঁকে। বয়ান নথিভুক্ত করতে এসে বিচারকের ঘরে হওয়া সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ২৩ বছরের এক তরুণী।
ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার ধলাই জেলার জেলা এবং দায়রা আদালতে। তরুণীর অভিযোগ, আদালতের কক্ষেই তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করেছেন একজন জেলা এবং দায়রা বিচারক। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেছিলেন ২৬ বছরের এক যুবক। সেই ঘটনার বয়ান রেকর্ড করাতেই তিনি এসেছিলেন আদালতে। কিন্তু বিচারকের কক্ষে যাওয়ার পর বিচারক নিরাপত্তা রক্ষীকে বাইরে গিয়ে দাঁড়াতে বলেন এবং ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন।
ঘটনাটির বিবরণ দিয়ে ওই তরুণী ত্রিপুরার কামালপুর বার অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছেন, তাঁকে তাঁর অভিযোগের বর্ণনা দিতে বলেন বিচারক। তিনি বিচারকের মুখোমুখি একটি চেয়ারে বসে এ বিষয়ে যখন কথা বলছিলেন, তখন হঠাৎই তাঁকে উঠে দাঁড়াতে বলেন বিচারক। তরুণী উঠে দাঁড়াতেই বিচারক তাঁকে জড়িয়ে ধরেন এবং যৌন হেনস্থা করেন।
এই ঘটনার পর তরুণী বাড়িতে ফিরে পুরো বিষয়টি জানান তাঁর স্বামীকে। তিনিই বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তরুণীর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই ঘটনায় অবিলম্বে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি।
ঘটনাটির তদন্ত করে দেখতে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে তারা। ওই প্যানেলে থাকা তিন সদস্য হলেন ধলাই জেলার জেলা এবং দায়রা বিচারক গৌতম সরকার, মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সত্যজিৎ দাস এবং আরও এক বিচারক। প্যানেলকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁকে ডিজিটাল ধর্ষণেরও শিকার হতে হয়েছে বিচারকের কক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy