ছবি: সংগৃহীত।
বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’য় প্রথম ফাটল কি জয়ন্ত চৌধুরি ধরাতে চলেছেন! প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংহের পৌত্র ও অজিত সিংহের পুত্রকে নিয়ে এখন সেই জল্পনাই তুঙ্গে। রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রধান জয়ন্ত খাতায়-কলমে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে থাকলেও বিশেষ কারণ দেখিয়ে পটনায় বিরোধীদের সম্মেলনে যাননি। বেঙ্গালুরুর সম্মেলনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার রাজ্যসভায় দিল্লির আমলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলে ভোটাভুটির সময় ফের জয়ন্ত গরহাজির ছিলেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে মথুরায় বিজেপির হেমা মালিনীর কাছে হেরে গেলেও জয়ন্ত মাস তিনেক আগে সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোক দলের যৌথ প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় জিতে এসেছেন। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের সঙ্গে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম ভোটাভুটিতে তাঁর অংশ না নেওয়াটা বার্তাবহ বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় লোক দলের অবশ্য দাবি, স্ত্রীর অস্ত্রোপচার থাকায় সোমবার জয়ন্ত হাসপাতালে ছিলেন। তাই রাজ্যসভায় থাকতে পারেননি। কিন্তু রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বিরোধী জোটে থাকলেও জয়ন্তের সঙ্গে তলে তলে বিজেপির দর কষাকষি চলছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে জাঠ বলয়ের ভোট ধরে রাখতে বিজেপি রাষ্ট্রীয় লোক দলের সঙ্গে জোট করতে চাইছে। তবে তারা তিনটি আসন দিতে চাইলেও জয়ন্ত ছ’টি আসন চাইছেন।
সোমবারের ভোটাভুটিতে পাঁচ জন ভোট দেননি। জয়ন্ত ছাড়াও সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে জিতে আসা নির্দল সাংসদ কপিল সিব্বল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া গরহাজির ছিলেন। অধুনা বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়া দেবগৌড়া অসুস্থ বলে তাঁর দল জেডিএস জানিয়েছে। আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে ভোট দিতে পারেননি তিনি। ভোটাভুটির ঠিক আগে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশকে সভাপতির আসনে বসিয়ে বেরিয়ে যান। না হলে জেডিইউ-এর হুইপ মেনে হরিবংশকে মোদী সরকারের বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy