Advertisement
E-Paper

গাড়ি চাপা দেওয়ার শাস্তি, হাসপাতালে আক্রান্তের অস্ত্রোপচার দেখতে হবে!

বেপরোয়া গাড়ি চালালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে, দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের কী ভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে কথা বলা, সিগন্যাল ভাঙা, গতিসীমা ভেঙে গাড়ি চালানোর মতো অপরাধে সংসদীয় কমিটি এ ধরনের শাস্তিরই সুপারিশ করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৬

বেপরোয়া গাড়ি চালালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে, দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের কী ভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে কথা বলা, সিগন্যাল ভাঙা, গতিসীমা ভেঙে গাড়ি চালানোর মতো অপরাধে সংসদীয় কমিটি এ ধরনের শাস্তিরই সুপারিশ

করছে। কমিটির মতে, তা হলে বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বোধগম্য হবে যে, নিয়ম ভাঙার পরিনাম কী হতে পারে।

পথ দুর্ঘটনা রুখতে এবং পরিবহণ সংক্রান্ত নিয়মকানুন ঢেলে সাজতে মোটর ভেহিকল্‌স আইনে সংশোধন করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই বিলে শাস্তি-জরিমানার পাশাপাশি নিয়ম ভাঙার অপরাধে জনসেবার নিদান দেওয়া রয়েছে। যেমন বিদেশে চালু রয়েছে। সেখানে নিয়ম ভাঙলে যে কোনও ধরনের জনসেবায় কাজ করতে পাঠানো হয়। ওই বিল খতিয়ে দেখে কমিটি জানতে চেয়েছিল, এ দেশে কী ধরনের জনসেবা করতে হবে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক কমিটিকে জানিয়েছে, এই বিষয়টি রাজ্য সরকার ঠিক করবে।

আরও পড়ুন: শৌচালয়ের ঝগড়া গড়াল তলোয়ারের কোপে, জখম দুই

সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু ঘটনায় গাড়ি চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা খুনোখুনি পর্যন্ত গড়িয়েছে। টোল প্লাজার কর্মীদের সঙ্গে বচসাতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা রুখতে কমিটির সুপারিশ, পুরসভা এলাকা বা শহুরে এলাকায় গাড়িতে বন্দুক রাখার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। কারণ এই এলাকাতেই যানজট বেশি হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র হলেও তা গাড়িতে রাখা চলবে না।

আরও পড়ুন: কফির কাপে স্মৃতি-সুধা, চুমুক অমর্ত্যের

এই বিলটি নিয়ে অনেক রাজ্যের সঙ্গেই কেন্দ্রের মতভেদ ছিল। আজ মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাড়ির ডিলাররা যে ভাবে কাজ করে, তা নিয়ে অনেক রাজ্যের আপত্তি রয়েছে। কারণ গাড়ির ডিলাররা ক্রেতাদের থেকে লজিস্টিকস বা হ্যান্ডলিং চার্জের নামে বেশি টাকা নেয়, বিলে কম টাকা লেখে, বিমার প্রিমিয়ামে বেশি টাকা নেওয়ার মতো নানা ধরনের বেআইনি কাজ করে। গাড়ির ডিলাররা হলো গাড়ি নির্মাতা সংস্থার প্রতিনিধি। তাই ডিলারদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ক্ষমতা দেওয়া হবে কি না, তা রাজ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। রাজ্য সরকার নিজের প্রয়োজনমতো তা ঠিক করবে। এ দিকে আরটিও বা রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটিগুলিতে কর্মী সংখ্যা কম। কাজের চাপ অনেক বেশি। তাই এই দফতরগুলি তাই দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে।

Driving Affected Operation Cars
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy