Advertisement
E-Paper

হাসিনা-ওলিদের পতনের জন্য দুর্বল শাসনই দায়ী! মনে করেন মোদী সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল

গত তিন বছরে ভারতের তিন পড়শি দেশে গণঅভ্যুত্থানের জেরে সরকারের পতন হয়েছে। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় সরকারের পতন হয়। তার পরে গত বছর বাংলাদেশে এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালে সরকার ভেঙে যায়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৬
(বাঁ দিক থেকে) শেখ হাসিনা, অজিত ডোভাল এবং কেপি শর্মা ওলি।

(বাঁ দিক থেকে) শেখ হাসিনা, অজিত ডোভাল এবং কেপি শর্মা ওলি। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনাদের দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণেই পতন হয়েছে সে দেশের সরকারের। একই কারণে ভেঙে পড়েছে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকারও। তিন বছর আগে অপর এক পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কাতেও সরকার পতনের নেপথ্যেও সেই একই কারণ রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

‘জাতীয় ঐক্য দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার দিল্লিতে সর্দার বল্লভভাই পটেলের স্মৃতিতে এক আলোচনাসভায় বক্তৃতা করছিলেন ডোভাল। শাসনব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে বক্তৃতা করছিলেন তিনি। ডোভাল জানান, দেশ গড়ার কাজে এবং দেশকে সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে শাসনব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্রসঙ্গেই গত সাড়ে তিন দশকে পড়শি দেশগুলিকে গণঅভ্যুত্থানের জেরে সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তাঁর মতে, বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা— তিন পড়শি দেশেই সরকার পতনের জন্য দায়ী ওই দেশগুলির তৎকালীন প্রশাসনের দুর্বলতাই।

আলোচনাসভায় ডোভাল বলেন, “বড় বড় সাম্রাজ্য, রাজতন্ত্র, গোষ্ঠীশাসনতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র বা গণতন্ত্রের উত্থান-পতন আসলে ওই দেশগুলির শাসনব্যবস্থার ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং অন্য দেশগুলিতে যে অসাংবিধানিক উপায়ে সরকারের বদল হয়েছে, তার কারণ আসলে সেখানকার দুর্বল শাসনব্যবস্থা।”

বস্তুত, গত তিন বছরে ভারতের এই তিন পড়শি দেশেই গণঅভ্যুত্থানের জেরে সরকারের পতন হয়েছে। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় পতন হয় তৎকালীন গোতাবায় রাজাপক্ষে সরকারের। তার পরে গত বছরে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে পতন হয় হাসিনা সরকারের। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালের তরুণ প্রজন্ম (জেন জ়ি)-এর বিক্ষোভের মুখে পতন হয়েছে ওলির সরকারেরও। এ অবস্থায় ডোভালের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে সরকার পতনের পরে হাসিনা সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ভোট বয়কটের ডাক দেন হাসিনা। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানান যে, আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় শামিল হবেন না।

Ajit Doval Bangladesh Nepal Sri Lanka
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy