ইয়ামিন আলি। নিজস্ব চিত্র।
বরপেটা জেলার ঠেলাচালকের ছেলে ইয়ামিন আলি অসমের হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। সাতটি বিষয়ে লেটার। পেয়েছে মোট ৫৫৮ নম্বর। ঢকুয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্র ইয়ামিনের বাড়িতে বিদ্যুৎও নেই। পায়নি সহায়িকা বইয়ের সুবিধা বা টিউশন। ইয়ামিনের বাবা, কাহিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা করম আলি জানান, ছেলে বরাবর ক্লাসে প্রথম হত। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর পরে অর্থাভাবে ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করতে হয়েছিল। বড় মেয়েকেও কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার পরে অর্থাভাবে লেখাপড়া ছাড়িয়ে দিয়ে বিয়ে দিয়ে দিতে হয়।
অন্য দুই ছেলে নবম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছেলেদের পড়াশোনায় খরচ সামলাতে ঠেলা ও রিকশা চালানোর পাশাপাশি আনাজ বিক্রি করা শুরু করেছেন তিনি। ইয়ামিন ও ভাইয়েরাও এতে সাহায্য করে বাবাকে। ইয়ামিন ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে সে। কিন্ত ভাবাচ্ছে পড়ার খরচ।
শনিবার ফল বেরনোর পরে অভিনন্দন জানাতে আসা সকলের কাছে সঙ্কাচের সঙ্গে সাহায্যের আবেদন রাখছে ইয়ামিন। তার কথায়, “শিক্ষকেরা বিনা পারিশ্রমিকে আলাদা করে পড়িয়েছেন। বইপত্র জুগিয়েছেন। কিন্তু এর পর কত দূর যেতে পারব জানি না।” বাবা, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করম বলেন, “ছেলেদের বলে দিয়েছি, তোমাদের শিক্ষিত হতে হবে, বড় হতে হবে।”
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৯৮৩, মোট আক্রান্তে মহারাষ্ট্র টপকে গেল চিনকে
আরও পড়ুন: ১৫ অগস্টের পরে খুলবে স্কুল-কলেজ বললেন পোখরিয়াল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy