রবার্ট বঢরার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির একটি আদালত। —ফাইল চিত্র।
আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় রবার্ট বঢরার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির একটি আদালত। তবে ইডিতে হাজিরা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
লন্ডনে ১৯ লক্ষ পাউন্ডের একটি সম্পত্তি কেনায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে বঢরার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইডি। তাঁদের অভিযোগ, রবার্টই ওই সম্পত্তির আসল মালিক। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর এসেছে, লন্ডনে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে রবার্টের। ৪০ লক্ষ পাউন্ড এবং ৫০ লক্ষ পাউন্ডের দু’টি বাড়ি ছাড়াও সেখানে ছ’টি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। ইডির আইনজীবী নীতেশ রাণা আজ আদালতে বলেন, ‘‘আমরা চাই, রবার্ট বঢরা এই সম্পত্তিগুলির বিষয়ে আমাদের জানাক।’’
আজ শুনানির সময়ে সরকারি আইনজীবী এবং ইডির আইনজীবী বঢরার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। অভিযোগ আনেন, ২০০৯-এ পেট্রোপণ্য কেনাবেচায় ঘুষ নেন রবার্ট। প্রিয়ঙ্কা বঢরার স্বামী রবার্ট এই মুহূর্তে লন্ডনে। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার পরেই তদন্তে সহযোগিতা করবেন রবার্ট। এর পরেই বিচারক অরবিন্দ কুমার রবার্টের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে রবার্টকে ইডির কাছে পৌঁছে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। রবার্টের আইনজীবী কে টিএস তুলসী আদালতে জানান, মায়ের চিকিৎসার জন্য রবার্ট লন্ডনে। দেশে ফিরে তদন্তে সহযোগিতা করবেন তিনি। তবে অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জিতে রবার্ট অভিযোগ এনেছেন, রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে।
রবার্ট জানিয়েছেন, তাঁর ‘স্কাইলাইট হসপিটালিটি’ নামে সংস্থার প্রতিনিধি মনোজ অরোরা ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজে সহযোগিতা করছেন। ইডির কাছে বিভিন্ন তথ্যও পাঠানো হয়েছে। ইডি আদালতে জানিয়েছে, অরোরার বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা দায়ের করেছে তারা। পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারীর বিরুদ্ধে আয়করের একটি মামলায় অরোরার ভূমিকা দেখার পরেই ওই মামলা করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, লন্ডনে ভান্ডারী একটি সম্পত্তি কিনে তার খোলনলচে বদলাতে বেশ কিছু অর্থ খরচ হওয়ার পরেও একই দামে বিক্রি করেছিলেন। ইডির অভিযোগ, রবার্টই ওই সম্পত্তির নতুন রূপ দিতে অর্থ ব্যয় করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy