Advertisement
E-Paper

জেটলির সঙ্গে ছবি রবার্টের!

জেটলি যা বলেছিলেন, কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতাই সে কথা মনে করেন। তাঁদের মতে, রবার্ট কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করতে গেলে দলের ক্ষতিই হবে। কারণ রবার্ট নানা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৩
অরুণ জেটলির সঙ্গে এই ছবিই প্রকাশ করেছেন রবার্ট বঢরা।

অরুণ জেটলির সঙ্গে এই ছবিই প্রকাশ করেছেন রবার্ট বঢরা।

গত সপ্তাহে তিনি লালকৃষ্ণ আডবাণীকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছিলেন। এ বার অরুণ জেটলির সঙ্গে নিজের পুরনো ঘনিষ্ঠতা জাহির করে তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করলেন রবার্ট বঢরা।

গাঁধী পরিবারের জামাইয়ের কাজকর্ম দেখে কংগ্রেসের অন্দরমহলে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি সক্রিয় রাজনীতিতে নামতে চলেছেন রবার্ট বঢরা? তার আগে রাজনৈতিক বিতর্কে নিয়মিত অংশ নিতেই কি তিনি বিজেপি নেতাদের নিশানা করা শুরু করেছেন?

রবিবার রবার্ট জানিয়েছিলেন, তিনি গোটা দেশে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করবেন। সনিয়া ও রাহুল গাঁধী রায়বরেলী-অমেঠিতে মনোনয়ন পেশের সময়ও তিনি হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তার পরেই বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করেন রবার্টকে। অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘জানি না এতে কংগ্রেসের প্রচারে লাভ হবে না বিজেপির প্রচারে লাভ হবে!’’

জেটলি যা বলেছিলেন, কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতাই সে কথা মনে করেন। তাঁদের মতে, রবার্ট কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করতে গেলে দলের ক্ষতিই হবে। কারণ রবার্ট নানা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এ দিকে প্রিয়ঙ্কাকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়ার পরে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেও তাঁকে প্রচারে নামিয়েছে কংগ্রেস। সাড়াও মিলছে। এর মধ্যে রবার্ট প্রচারে নেমে গেলে সেই ছায়া প্রিয়ঙ্কার উপরেও পড়বে। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা মুখে কিছুই বলতে রাজি নন। রবার্টকে কোথায় প্রচারে নামানো হবে বা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরেও কংগ্রেস মুখপাত্ররা বলছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এরই মধ্যে আজ রবার্ট তাঁর সঙ্গে জেটলির একটি করমর্দনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন। সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব পরিস্থিতিতেই সম্মান ও শালীনতা বজায় রাখা উচিত। এতে চরিত্রের দৃঢ়তা প্রকাশ পায়।’’ কোনও একটি স্টেডিয়ামে এক ফ্রেমে জেটলি, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা ও রবার্টের উল্লসিত ছবিও তুলে ধরেছেন তিনি।

কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে রবার্ট নিজেই সক্রিয় রাজনীতিতে নামার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কা খাতায়-কলমে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই তাঁর স্বামী বলেছিলেন, রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যদি দেশের মানুষের জন্য বদল আনতে পারি, তা হলে কেন নয়? সে সময় কংগ্রেসের জবাব ছিল, কেউ দেশের কাজ করতে চাইলে তার জন্য নরেন্দ্র মোদীর অনুমতি দরকার নেই। তবে রবার্টকে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতেও বলা হয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রবার্টের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি-র মামলাতে অবশ্য রাহুল-প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি কংগ্রেসও পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, রবার্টের বিরুদ্ধে মামলার সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু রবার্ট প্রচারে নামলে যে দুর্নীতি নিয়ে তাঁদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে, তা-ও বুঝতে পারছেন কংগ্রেস নেতারা। আর সে কারণেই জামাইকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত গাঁধী পরিবার কী করে, সেটা তাঁরা দেখতে চাইছেন।

Robert Vadra Arun Jaitley Congress BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy