সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে এখনও সরাসরি কিছু বলেননি রবার্ট বঢরা। ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য রাহুল গাঁধীই অঘোষিত ভাবে দলের মুখ। বোন প্রিয়ঙ্কাকে সবে উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে ঝড় তোলানোর চেষ্টা হচ্ছে। এখনই প্রচারের আলো ভাই-বোনের গণ্ডি পেরিয়ে রবার্ট বঢরার উপরেও পড়ুক— কংগ্রেস নেতৃত্ব তা চাইছেন না। দলীয় সূত্রের খবর, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে রবার্টকে ‘ধীরে চলার’ বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রবার্টও সেই অনুযায়ী সুর বদলেছেন আজ।
গত কালই ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট লিখে প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ঘোষণার পরেই উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে রবার্টকে কংগ্রেসের প্রার্থী করার দাবি তুলে পোস্টারও পড়ে গিয়েছে। রবার্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপিও তীক্ষ্ণ আক্রমণ শুরু করেছে। কংগ্রেসের এতে জোড়া অস্বস্তি। একে তো রাহুল-প্রিয়ঙ্কার বাইরে পরিবারের আর কারও উপর নজর পড়ুক, এটা চাইছে না দল। দুই, ভোটের ঠিক মুখে রবার্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের মামলা একেবারে টাটকা। আজও দিল্লির আদালত তাঁর বিরুদ্ধে চলা ইডির তদন্ত আটকানোর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। যদিও ইডিকে বাজেয়াপ্ত করা নথির প্রতিলিপি রবার্টের হাতে তুলে দিতে বলেছে আদালত।
কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘রবার্টকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সামনের লোকসভা নির্বাচনে যেন তিনি প্রার্থী হওয়ার কথা না ভাবেন। ইডির তদন্তের বিষয়টি একটু থিতু হলে বরং রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। এখনই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে এলে বিজেপিরই লাভ হবে। কারণ বিজেপি কাল থেকেই রবার্টকে কংগ্রেসের ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ বলে বিঁধতে শুরু করেছে।’’
এই চাপের মুখে রবার্টও আজ সুর বদলাতে বাধ্য হন। রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভোটে লড়ার কোনও তাড়া নেই। আগে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে রেহাই পাই। তবে আমি কাজ করা শুরু করব। লোকেও বুঝুক, আমি বদল আনতে পারি। আমাকে সেটি অর্জন করতে হবে।’’
রবার্টের আইনজীবী কে টি এস তুলসীও আজ বলেন, ‘‘রাজনীতির বিষয়টি তো কেউ থালায় সাজিয়ে দিতে পারে না। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীরও কুড়ি বছর লেগেছে সিদ্ধান্ত নিতে।’’ কংগ্রেসের নেতা সন্দীপ দীক্ষিতও রবার্টের রাজনীতিতে আসার বিষয়টি লঘু করে বলেন, ‘‘যে কোনও ব্যক্তি নিজের মত প্রকাশ করতে পারেন। কর্মীদের উৎসাহের উপরেও অনেকটা নির্ভর করে।’’
কংগ্রেস চাইছে, উত্তরপ্রদেশে পরের বিধানসভা ভোটে প্রিয়ঙ্কাই মুখ হোন দলের। তাঁর জন্য রাহুল যে টিম তৈরি করেছেন, তারা উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বৈঠকও শুরু করেছেন। কিছু দিনের মধ্যে প্রিয়ঙ্কাও যাবেন ফের। অমিত শাহ কাল পূর্ব উত্তরপ্রদেশে যাবেন। তার আগে বিজেপি সভাপতি আজ বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কা বঢরা এর আগে চার বার ভোটে প্রচার করেছেন। তিনি বিমানবন্দরে যাচ্ছেন, হাত নাড়াচ্ছেন, হাসছেন— এই সব বাড়িয়ে-চড়িয়ে প্রচার করলে জমিতে ফারাক পড়বে না। উত্তরপ্রদেশের মানুষ সব বোঝেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy