—প্রতীকী ছবি
গাধার দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! দশ লাখ। হ্যাঁ, এমনই দর হেঁকেছেন গাধার মালিক হরিয়ানার রাজ সিংহ। মালিকের কথায়, ‘সেলিব্রিটি’।
‘‘টিপু কোনও সাধারণ গাধা নয়। টিপু হল স্টার।’’ পোষ্যের বিবরণ দিতে দিতে গর্বে ছাতি ফুলে উঠল মালিকের। যে কোনও সাধারণ গাধার চেয়ে প্রায় সাত ইঞ্চি লম্বা টিপুই এখন রাজ সিংহের চোখের মণি। শুধু সোনপত নয়, গোটা হরিয়ানায় টিপুর জুড়ি মেলা ভার। তাই দামও আকাশছোঁয়া। মালিকের কথায়, সাধারণত গাধার দাম দু’লাখের বেশি হয় না। তবে টিপুর ব্যাপারই আলাদা!
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হাত-পা কেটে নিল গ্রামবাসীরা!
‘‘টিপুর হাবভাব, চালচলন সবই রাজকীয়। তার রুটিন শুনলে মানুষদের মতো গাধারাও চমকে উঠবে। লজ্জাও পাবে কেউ কেউ।’’ হাসিমুখে বললেন রাজ। জানালেন রয়েছে আরও চমক। টিপুর না কী রাক্ষুসে খিদে। তার রোজকার বরাদ্দ পাঁচ কিলোগ্রাম মুগ ডাল, চার লিটার দুধ এবং ২০ কিলোগ্রাম ঘাস। মুগ ডাল তার খুবই পছন্দের। এই ডাল পেলেই গোগ্রাসে খেয়ে নেয় টিপু। তা ছাড়া শরীর তাজা রাখতে রোজ সকাল-বিকেল হাঁটা তো আছেই। রাজ জানালেন, রোজ টিপুকে খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মন খুলে খেলাধুলো করে সে। এ হেন গাধাকে কিনতে অনেকেই মুখিয়ে আছে। উত্তরপ্রদেশের রোহতকে পশু উৎসবের সময় টিপুর দাম উঠেছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। কিন্তু সাধের গাধাকে এত কম দামে ছাড়তে মন মানেনি তাঁর। টিপুর রোজকার খরচ কম করে হাজার টাকা। ন্যায্য দাম পেলে তবেই বিক্রির কথা ভাববেন বলে জানালেন তিনি। আর এই ন্যায্য দাম কোনও অংশেই দশ লক্ষের কম নয়।
সোনপতে গত পাঁচ দশক ধরে গাধার খামারের ব্যবসা রয়েছে সিংহ পরিবারের। গত মাসেই দেহ রেখেছেন রাজের বাবা ধরম সিংহ। তার পর থেকে গোটা পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব সামলান তিনি ও তাঁর ভাই রজনীশ। প্রজনন ও গাধা কেনাবেচাই তাঁদের মূল কাজ। প্রজননের জন্য টিপুকেও অন্যান্য খামারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানেও তার খুব চাহিদা। তবে ‘সেলিব্রিটি’ নয়, এ বার আরও লম্বা ও শক্তিশালী ‘সুপার’ গাধার আশায় দিন গুনছেন মালিক। এ বার দাম নিশ্চয় ২০ লক্ষ? অপেক্ষায় আছে হরিয়ানাবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy