২০১২ সালে ওই মুদ্রা বাজারে আনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।
আপনার কাছে কি বৈষ্ণোদেবীর ছবি খোদাই করা পাঁচ টাকা বা ১০ টাকার মুদ্রা আছে? থাকলে একবার ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। একটি অনলাইন বিকিকিনির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে এই ধরনের ভারতীয় মুদ্রা লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করছেন কোনও কোনও বিক্রেতা। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিক্রেতারা কয়েনের দাম ১০ লক্ষ টাকাও ধার্য করেছেন। এ থেকে অনুমান, কয়েন সংগ্রাহকদের দুনিয়ায় এ ধরনের মুদ্রার বেশ চাহিদা আছে।
মুদ্রাটির বৈশিষ্ট, এর উল্টো পিঠে খোদাই করা অষ্টভূজা বৈষ্ণোদেবীর ছবি। প্রান্তে ইংরেজি এবং হিন্দি হরফে লেখা শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড। ২০১২ সালে বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ডের ২৫ বছর পূর্তিতে ওই মুদ্রা বাজারে আনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পাঁচ টাকা এবং ১০ টাকার মুদ্রার ওই বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বৈষ্ণোদেবীর ছবি খোদাই করা ওই কয়েনকে অনেকেই ভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন এবং সংগ্রহে রাখতে চান। অনলাইন বিকিকিনির ওয়েবসাইটে কয়েনের লক্ষাধিক টাকা দাম ওঠার কারণ সম্ভবত সেটাই।
পুরাণে সরস্বতী, লক্ষ্মী এবং পার্বতীর মিলিত রূপ বৈষ্ণোদেবী। অশুভকে বিনাশ করার শক্তি হিসেবেও কল্পনা করা হয় তাঁকে। পুরাণের এই বর্ণনায় মানুষের বিশ্বাসও মুদ্রাটির চাহিদার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই এই মুদ্রা থাকলে তার ছবি তুলে আপনিও ওয়েবসাইটে পোস্ট করে দেখতে পারেন। কে বলতে পারে তেমন বিশ্বাসী ক্রেতা পেলে পাঁচ টাকার মুদ্রা বিক্রি করে লাখপতি হয়ে যেতেও পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy