Advertisement
১১ নভেম্বর ২০২৪
India-China Conflcit

সীমান্ত সমস্যার সমাধানে সফল হবে, ভারত ও চিন, আশাবাদী রাশিয়া! তবে কোনও পরামর্শ দেবে না

গত সপ্তাহে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার পরে পূর্ব লাদাখের এলএসির বিভিন্ন এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

(বাঁ দিকে থেকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

(বাঁ দিকে থেকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৪৬
Share: Save:

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই ভারত এবং চিন ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’ (এলএসি)-য় সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে পারবে বলে আশাবাদী রাশিয়া। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন, ভারতে রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ। পূর্ব লাদাখের এলএসি নিয়ে দু’পক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই সঙ্গেই রুশ রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, ‘‘নায়দিল্লি-বেজিং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়ে আমরা কোনও পরামর্শ দিতে চাই না।’’

গত সপ্তাহে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার পরে পূর্ব লাদাখের এলএসির বিভিন্ন এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। দু’দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, আগামী ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ব লাদাখের এলএসি-র এই সব অঞ্চলে দু’দেশের সেনা সরানোর কাজ সম্পূর্ণ হবে।

ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহেই রাশিয়ায় কাজ়ান শহরে ব্রিকস শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়েক সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই চিনা বিদেশ মন্ত্রক পূর্ব লাদাখের সীমান্ত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমঝোতার কথা জানিয়েছিল। পাঁচ বছরের ব্যবধানে যে রাশিয়ার মাটিতেই মোদী-জিনপিং প্রথম বৈঠক করেছেন তা মস্কোর কাছে আনন্দের বিষয় বলে জানিয়ে ডেনিস বলেন, ‘‘আমরা মনে করি ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’’ ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যাকে ‘জটিল বিষয়’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দু’পক্ষেই পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE