Advertisement
০৮ মে ২০২৪
S. Jaishankar

চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চলল সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন এবং তার আগ্রাসী আচরণের নিন্দা করে আসছে ভারত।

S.Jaishankar.

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩৬
Share: Save:

আগামী বৃহস্পতিবার শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই বেজিং সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে তাঁর প্রথম সরকারি সফরে সান্তো ডোমিঙ্গোতে পৌঁছেছেন এস জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া বা জাপান— যে কোনও দেশই হোক না কেন, আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি যে, এই সমস্ত সম্পর্ক একতরফা ভাবে যেন না এগোয়। কিন্তু সীমান্ত বিরোধ এবং বর্তমানে আমাদের সম্পর্কের অস্বাভাবিক প্রকৃতির কারণে চিন কিছুটা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের সীমান্ত সংক্রান্ত চুক্তি লঙ্ঘনের ফলাফল।”

তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চলল সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন এবং তার আগ্রাসী আচরণের নিন্দা করে আসছে ভারত। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, উভয় দেশের কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে ভারত দৃঢ় ভাবে চিনকে জানিয়ে দিয়েছে, বেজিংয়ের তরফ থেকে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ ভিত্তিকে “ক্ষয়” করেছে। সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা বর্তমান চুক্তি অনুসারেই সমাধান করতে হবে। এ নিয়ে জয়শঙ্কর আগেও চিনকে একাধিক বার কঠোর বার্তা দিয়েছেন। এসসিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রাজনাথ সিংহও সাফ জানিয়েছেন, সীমান্ত সমস্যার সমাধান না বলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুস্থির হবে না। জবাবে চিন যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে কিছুটা হতাশ সাউথ ব্লক। চিনের বক্তব্যের সারবত্তা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যাকে এক করে দেখলে চলবে না। বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক আদানপ্রদান চলতে থাকুক, তারই ফাঁকে সীমান্তকে স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া খুঁজতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দু’দেশের সীমান্তসংঘর্ষে দু’তরফেরই একাধিক সেনার মৃত্যু হয়। ভারতীয় তরফে কর্নেল-সহ ২০ জন এবং চিনের তরফে ৪৩ জন হতাহত বলে জানা যায়। ভারতের দাবি, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা না-মানার ফলেই লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

S. Jaishankar India China
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE