ছবি: পিটিআই।
গডসে-মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন বটে। তবে তা আদতে ‘যদি’, ‘কিন্তু’তে ভরা এক বিবৃতি। উপরন্তু এক ‘মহিলা-সাংসদ’কে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলায় রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিলেন প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর নিজে। আর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লোকসভায় বললেন— ‘‘মহিলা, তা-ও এক সাংসদকে সন্ত্রাসবাদী বলা গাঁধীহত্যার থেকেও খারাপ।’’
এ দিকে, নোটিসের খবর শুনে রাহুল গাঁধী বলেন, প্রজ্ঞা নিয়ে নিজের টুইটে (প্রজ্ঞা সন্ত্রাসবাদী) অটল তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রজ্ঞা যা করার করুন। তিনি যা বিশ্বাস করেন, তার সঙ্গে একমত নই।’’ প্রজ্ঞা বুধবার লোকসভায় ফের বলেন, গাঁধী হত্যাকারী গডসে ‘দেশপ্রেমিক’। আজ সকালে প্রজ্ঞাকে নিয়ে কৌশল ঠিক করেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তার পর লোকসভায় প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘যদি কাউকে আঘাত করে থাকি, তা হলে ক্ষমা চাইছি। কিন্তু আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। মহাত্মা গাঁধীর দেশসেবাকে সম্মান করি। আমাকে সন্ত্রাসবাদী বলা হয়েছে। আগের সরকার ষড়যন্ত্র করেও আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই সন্ত্রাসবাদী বলা আইনবিরুদ্ধ।’’
প্রজ্ঞা আরও লিখে আনলেও পড়তে পারেননি বিরোধীদের হইচইয়ে। প্রায় এক ঘণ্টা পর সর্বদল বৈঠক ডাকেন স্পিকার। স্থির হল, প্রজ্ঞা আবার ক্ষমা চাইবেন। দ্বিতীয় বার বললেন, ‘‘শত্রুর অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি..।’’ ফের হট্টগোল। স্পিকার বললেন, শুধু এক লাইন পড়ুন। প্রজ্ঞা পড়লেন, ‘‘এসপিজি বিল নিয়ে আলোচনায় নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলিনি।’’
আরও পড়ুন: আরে কলোনির একটি গাছের পাতাও কাটা যাবে না, দায়িত্ব নিয়েই নির্দেশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy