ফাইল চিত্র।
স্কুলের ‘অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার’ থেকে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন তুলে দেওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে অসমে। তার মধ্যেই আজ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে সামনে রেখে ‘বৃহত্তর গুয়াহাটি রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন সমিতি’ গুয়াহাটির রবীন্দ্র ভবনে কবি প্রণামের আয়োজন করল। বিতর্কের অবসানে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আগামী বছর থেকে সরকারি উদ্যোগেই সব জেলায় রবীন্দ্র চর্চা হবে।
এ বছর থেকে গোটা রাজ্যে একটিই ‘অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার’ হওয়ায় বরাকে ৯ মে, রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের বদলে নিয়মিত ক্লাস হওয়ার নির্দেশ ছাপা হয়েছে। ক্ষুব্ধ বরাক-ব্রহ্মপুত্রের রবীন্দ্র অনুরাগীরা। প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব, বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। আজ বরাকের অধিকাংশ স্কুলে নাম মাত্র ক্লাস করার পরে অনুষ্ঠান হয়। কোথাও আবার প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে আলাদা করে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান করা হয়েছে। প্রতি বছর শিলচরে দু’টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তীর সকালে প্রভাত ফেরী বের হয়। কিন্তু এ বারের প্রভাত ফেরীতে সকাল সকাল স্কুল থাকার কারণে বহু ছাত্রছাত্রীই যোগ দেননি।
তবে গুয়াহাটিতে এ দিন সকালে কবির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোনোয়াল ঘোষণা করেন, ছাত্রছাত্রীদের কাছে রবীন্দ্রজীবন ও চরিত্রের বিভিন্ন অজানা দিক তুলে ধরতে পরের বছর থেকে সব জেলায় সরকারি উদ্যোগে এই দিনটি পালিত হবে। বসানো হবে আলোচনাচক্র। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া, তরুণরাম ফুকন-সহ রাজ্যের মনীষীদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠতা, শান্তিনিকেতনে মণিপুরি নৃত্য শিক্ষা প্রচলন করা ও রবীন্দ্রনাথের তিন বার অসম ভ্রমণের কথা উল্লেখ করেন সর্বানন্দ। তিনি ঘোষণা করেন, রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাধকদের সাহায্য ও সম্মান প্রদানে সরকার উদ্যোগ নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy